২০১৭তে ১৫ জন সংখ্যালঘু নারী গণধর্ষণ, ১৮ জন ধর্ষিত ও ১১ জন ধর্ষণের চেষ্টার শিকারঃ মহিলা ঐক্য পরিষদ
২০১৭তে দেশে ১৫জন সংখ্যালঘু নারী গণধর্ষণ, ১৮ জন ধর্ষিত, ও ১১ জন ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ।
রাজধানীতে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলা ঐক্য পরিষদের দ্বিতীয় ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের এই চিত্র তুলে ধরেন।
সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজ না করলে ও দীর্ঘসূত্রিতা না থাকলে এবং সত্যিকারের অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথা সময়ে শাস্তির আওতায় আনা হলে ঘটনাগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তো না ।
সুলতানা কামাল আরো বলেন, “গত তিন বছরে এমন কয়েক হাজার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নানা ধরণের অত্যাচার করা হয়েছে।
উদ্বোধনীতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টার ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঘটছে। জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ গোটা বাংলাদেশকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে।
“আমাদের রাজনৈতিক দল এই সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ শক্তির সাথে কখনো মেলবন্ধনে, কখনো পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে, কখনো বা হাত ধরাধরি করে, প্রত্যক্ষে-প্ররোক্ষভাবে গোপন কারসাজি করে বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিকে তারা এগিয়ে নিতে চাইছে।”
মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি জয়ন্তী রায়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিষদের সাবেক সভাপতি সাবিত্রী ভট্টাচার্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু ধর বক্তব্য দেন।
সম্মেলন শেষে সুপ্রিয়া ভট্টাচায্য, মধুরিমা বড়ুয়া ও সিসিলিয়া গোমেজকে সভাপতির যৌথ দায়িত্ব ও দিপালী চক্রবর্তিকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট মহিলা ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।