আন্তর্জাতিক

স্বাধীনতার গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী: ইরাকি কুর্দি নেতা

ইরাকের কুর্দিস্তানে স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে কুর্দিরা ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে ভোট দিয়ে স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরাকি কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানি।
বাগদাদ সরকারের বিরোধিতা সত্বেও ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের স্বাধীনতার প্রশ্নে সোমবার ওই এলাকায় গণভোটের আয়োজন করেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বারজানি ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হয়েছে জানিয়ে ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারকে কুর্দিশ রিজিওনাল গভর্নমেন্টকে (কেআরজি) নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়ার বদলে ‘গুরুত্বপূর্ণ সংলাপে’ অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

কেআরজির গণভোট অনুষ্ঠানে বাগদাদ সরকার ও ইরাকের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই গণভোটকে অসাংবিধানিক বলে বিবেচনা করছে ইরাক। কারণ এই গণভোট শুধু কুর্দি অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিরোধপূর্ণ অন্যান্য এলাকাগুলোতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের প্রধান রাষ্ট্রগুলো এবং প্রতিবেশী তুরস্ক ও ইরান জোরালোভাবে এই গণভোটের বিরোধিতা করেছে। সব পক্ষ যখন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিপক্ষে লড়াইরত আছে তখন এই ‘গণভোট’ স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে বলে অভিযোগ করেছে পক্ষগুলো।

অপরদিকে নিজেদের একটি রাষ্ট্রের জন্য কয়েক প্রজন্ম ধরে অপেক্ষা করে থাকা কুর্দিদের কাছে এই গণভোট একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর থেকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্তশাসিত একটি এলাকা শাসন করে আসছে তারা।

কুর্দিদের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো কথা বলার সম্ভাবনা আগেই বাতিল করেছে ইরাকি সরকার, অপরদিকে স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান এলাকার বিরুদ্ধে অবরোধের হুমকি দিয়েছে তুরস্ক।

এ প্রসঙ্গে বারজানি বলেছেন, “আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে, কিন্তু আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারব।”

ভাষণে গণভোটে ভোট দেওয়া ‘লাখ লাখ মানুষের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য’ বিশ্ব শক্তিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে কুর্দিদের রুদাও টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, হ্যাঁ এর পক্ষে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়েছে, সম্ভবত ৯০ শতাংশ।

বুধবার গণভোটের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Back to top button