জাতীয়

সুলতানা কামাল এবং প্রগতিশীল অন্য নাগরিকদের হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় সুলতানা কামাল এবং প্রগতিশীল অন্য নাগরিকদের হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িক উসকানি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভিগের শিক্ষক এম এম আকাশ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত শাপলা চত্বর, পল্টন ও গুলিস্তানে তাণ্ডব চালিয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে উৎখাত করতে সচেষ্ট হয়েছিল। সেই একই হেফাজত এখন একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষকে ন্যক্কারজনকভাবে ধর্মের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুংকার ছাড়ছে, হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানে যেসব মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে, তার প্রতিটিকে এরা অবজ্ঞা করে চলেছে। এদের এ আচরণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় আমরা খুবই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির। অন্যদের মধ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর, কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সাবেক তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, সংস্কৃতিকর্মী সারা যাকের, আমরাই পারি জোটের কো-চেয়ারপারসন শাহীন আনাম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত, নারীনেত্রী মালেকা বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Back to top button