সুনীল চাকমার প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি
বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নে খুন হওয়া যুব সমিতির নেতা সুনীল চাকমার প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে জেলা জনসংহতি সমিতি। জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। ৩১ মে ২০১৬ গভীর রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কিবুক পাড়া শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুনীল চাকমাকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে হত্যা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩১ মে ২০১৬ কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী উচপ্রু মারমার (মোরগ মার্কার) পক্ষে নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষে করে বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমাতে গেলে আনুমানিক মধ্যরাতে কে বা কারা সুনীল চাকমাকে ডেকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। অনেকক্ষণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে গেলে বাড়ির পাশে সুনীল চাকমার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঘটনার দুই/তিন দিন আগে নিহত সুনীল চাকমার নেতৃত্বে মেম্বার প্রার্থী উচপ্রু মারমার একদল সমর্থক কর্তৃক নির্বাচনী পোষ্টার টাঙানোর সময় তাদেরকে স্থানীয় রাবার বাগানের ম্যানেজার ও যুব লীগের কর্মী আনুমং মারমা চোখ রাঙিয়ে পোষ্টার লাগাতে বারন করেন এবং টাঙানো পোষ্টারগুলো ছেড়ার সময় আনুমং মারমা সুনীল চাকমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। তাই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে জনসংহতি সমিতি মনে করে।
বিবৃতিতে জনসংহতি সমিতি অভিযোগ করে, এ হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা এবং তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার হীন উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যোগসাজসে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যুব সমিতির তিনজন সদস্যসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে মেইগ্য মারমা নামে যুব সমিতির এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিবৃতিতে জনসংহতি সমিতি নেতৃবৃন্দ অচিরেই মেইগ্য মারমার বিনাশর্তে মুক্তির দাবি করেন এবং যুব সমিতির অপর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিবর্তে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি করেন।