সিলেটে আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা শীর্ষক আলোচনা সভা
উইকক্লিব সিম যুব সংঘ আয়োজিত আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত
প্রথমে সভায় উপস্থিত অতিথি ও আদিবাসী অংশগ্রহনকারী প্রতিনিধিদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়। আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পূর্ণেন্দু দেব, তাহিরপুর উপজেলা কর্মকর্তা, রাকেশ হাজং, সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম; কেন্দ্রীয় কমিটি, আশাতুষ হাজং, চেয়ারম্যান, টিডব্লিউএ, ধরমপাশা, এলিমেন হাজং, আদিবাসী সংগঠক এবং ঢাকা থেকে আগত আদিবাসী যুব প্রতিনিধি টনি চিরান সহ সুশান্ত মাহাতো উপস্থিতি ছিলেন।
সভায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আদিবাসী নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। সভার সভাপতিত্ব করেন, এন্ড্রো সলমার, অর্থ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি, উইকক্লিব সিম যুব সংঘ। সভার সঞ্চালনা করেন, উত্তম স্নাল। আলোচনা সভার শুরুতেই আদিবাসীদের অধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ স্বীকৃত ঘোষণা ইউনিভার্সেল পিরিওডিক রিভিউ (ইউ.পি.আর) এর সুপারিশ সমূহ নিয়ে আলোকপাত করেন আয়োজক কমিটি।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন- মিখায়েল দিও, সাধারণ সম্পাদক, উইকক্লিব সিম যুব সংঘ। তিনি বলেন, আমাদের এই সংগঠনটি আদিবাসীদের অধিকার সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকে। আদিবাসীদের ভুমি ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য একত্র হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আদিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও ভূমি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এক কথায় বলেন বর্তমানে আদিবাসীদের অবস্থা খুবই নাজুক।
অত:পর রাকেশ হাজং উপস্থিতি সবাইকে ধন্যবাদ প্রদান করে বলেন, আলোচনা সভার আয়োজক সহ কাপেং ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কে ধন্যবাদ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জে সীমান্তবর্তী আদিবাসীদের ভূমি ও সামাজিক নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। তিনি আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আদিবাসীদের একত্রিত হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করার আহ্বান করেন। রাকেশ হাজং বক্তব্যে বলেন, আদিবাসীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভূমি সমস্যা। এখন আদিবাসীরা ঠিকমত জমি হস্তানান্তর করার জন্য অনুমতি পাচ্ছে না।
আশাতুষ হাজং বক্তব্যে বলেন- ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ত আইন ৯৭ ধারা নিয়ে তিনি বিশদ আলোচনা করে বলেন আমাদের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা সমাধান কল্পে এই ধারাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এই আইন দিয়েও আদিবাসীদের ভূমি সুরক্ষা করা যাবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এই আইনের বাস্তবায়ন নাই বললেই চলে এবং প্রশাসনিক বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেশী।
এলিমেন হাজং বলেছেন- আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য আরো জোড়ালো ভাবে আইনি সচেতনতা ও অ্যাডভোকেসি বৃদ্ধি করা দরকার।
সভার আলোচনা শেষে সভাপতি বলেন, আমাদের ভূমি সমস্যা তো আছে তাছাড়াও আদিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে খুবই শংকিত। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আদিবাসীদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে এবং একত্রিত হয়ে সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। অত:পর সভায় আমন্ত্রিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আলোচনা সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।