সিদ্দিকুরকে চেন্নাই নেওয়া হচ্ছে
পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে অন্ধ হতে চলা ঢাকার তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই নেওয়া হচ্ছে।
সিদ্দিকুরের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার নিয়েছে বলেও সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দুপুরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে সিদ্দিকুরকে দেখার পর তাকে বিদেশ পাঠানোর ইঙ্গিত মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি আসে।
এতে বলা হয়, “সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।”
নিম্নবিত্ত পরিবারের এই কলেজছাত্রের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তার সহপাঠীরা। একই দাবি জানিয়ে সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “সিদ্দিকের চোখ ভালো করতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।”
সিদ্দিকুর বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিদ্দিকের চিকিৎসার আর্থিক খরচ বহনসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার চোখ ভালো করতে যা যা করণীয় চিকিৎসকরা যেন সেই পদক্ষেপগুলো নেন।”
দুপুরে হাসপাতালে সিদ্দিকুরকে দেখার পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে কেবিনেটে আমরা আলোচনা করেছি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচে প্রয়োজনে দেশের বাইরে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
“সিদ্দিকুরের বিষয়টি নিয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আগারগাঁওয়ে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “সিদ্দিকুরের সঙ্গে আমরা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি, হাসপাতালের পরিচালকও আমার সাথে ছিলেন। সিদ্দিকুরের একটি চোখে আলো না ফিরলেও আরেকটি চোখে আলো ফেরানোর জন্য ডাক্তাররা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা আশা রাখছি, তার চোখের আলো ফিরবে।”