জাতীয়

সাহেবগঞ্জে হামলা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনঃ ৫ দফা দাবী উত্থাপন

গত ৬ ও ৭ তারিখে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহীনি কর্তৃক গাইবান্ধা জেলার বাগদা ফার্ম এলাকায় যে নারকীয় হামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগ করেছে তার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও নাগরীক সমাজ গত ১১ নভেম্বর সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং ঘটনার সাথে জরিত সকলকে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল বলেন, সাহেবগঞ্জের এই ঘটনা মানবাধিকারের চরম লংঘন। স্বাধীন বাংলাদেশে এধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়িদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি এই ঘটনাকে গণহত্যার সাথে মিল রয়েছে বলে মনে করেন তাই সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আদিবাসীদের তাদের নিজ জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।
গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আদিবাসীদের উপর একের পর এক হত্যা, লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলছে। সম্প্রতি এই ঘটনা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে এর বিচার নিশ্চিতকরনের দাবি জানান। তিনি পাকিস্তান বাহিনীর মতো বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসী বাহিনী যুক্তথেকে এই কাজগুলো করছে।
পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, যারা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করে তাদেরকে দ্রুত বিচার আইনে আওতায় বিচার করতে হবে। তিনি আরোও বলেন সরকার এদেশ থেকে আদিবাসী শুণ্য করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
আদিবাসী নেতা সঞ্জীব দ্রং বলেন, সাহেবগঞ্জের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লংঘন। বিচার বিভাগিয় তদন্তকরে এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
এছারাও বক্তব্য রাখেন, রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিপদ ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, রবীন্দ্রনাথ সরেন, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করাহয়

১. কমপক্ষে চার জন আদিবাসী হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। চিনি কল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি তদন্তকরে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. এই মানবাধিকার লংঘণের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
৩. নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণ নিরাপত্তাসহ আবারো তাদের নিজ ভূমিতে বসবাসের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সম্পূর্ণ সুস’ না হওয়া পর্যন্ত আহতদের চিকিৎসার সার্বিক দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
৪. সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করতে হবে এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ঘটনার জন্য দায়ী স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

Back to top button