সাহেবগঞ্জের বাড়িঘরে ফের আগুন

গত ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাঁওতাল পল্লীর একটি টিনের ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘরের বেড়ার কিছু অংশ পুড়ে গেলে সাঁওতালরাই দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সুগার মিলের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরেই আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ৪ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমার ইউনিয়নের সাঁওতাল পল্লী জয়পুরপাড়ায় জয়পুরপাড়ার হাসিবুর রহমানের একচালা একটি টিনের ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুন দেওয়ার ঘটনা বুঝতে পেরে জনগণ দ্রুত বেরিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ন্ত্রণ করায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।
আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে জয়পুরপাড়ার কাটাতারের পাশে রংপুর সুগার মিলের জমিতে সাঁওতালদের একটি ছাগল যায়। এসময় মিলের লেবার সর্দার রুহুল আমিন ও গার্ড রায়হান ছাগলটিকে তাড়িয়ে দেয়। এতে রুহুল ও রায়হানের সাথে সাঁওতালদের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষ নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এ ঘটনার পর রাতে ওই পল্লীর একটি ঘরের বেড়ায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসিবুর রহমান সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘মিলের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সঙ্গে মিলের লেবার ও গার্ডের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে গত ৬ নভেম্বর আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল মারা যান। এসময় পুলিশ তাদের বসত-ঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন সাঁওতালরা। পরে এক ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের এসব বাড়িঘরে আগুন লাগাতে দেখা গেছে।