সাজেকে জীপ ড্রাইভার কর্তৃক এক আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের চেষ্টা
গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ রাঙ্গামাটি জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই গ্রামে পর্যটন কেন্দ্রের এলাকায় মিজান নামে জনৈক জীপ ড্রাইভার কর্তৃক এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সেদিন সন্ধ্যে আনুমানিক ৭.৩০ টার সময় রুইলুই গ্রামের ১৪ বছরের আদিবাসী কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী ধর্মীয় মন্দিরে যাবার সময় গ্রাম ও মন্দিরের মাঝামাঝি স্থানে পৌছঁলে সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সেটেলার জীপ ড্রাইভার মিজান (৩০) পিতা- মীর আহম্মদ, গ্রাম- বাঘাইহাট, সাজেক, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি তাকে ঝাপটে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে সে চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে গ্রামবাসীরা এগিয়ে গেলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং বিবস্ত্র অবস্থায় মিজান পালিয়ে যায়। সেদিন ড্রাইভার মিজান তার জীপে করে পর্যটক বহন করছিল।
৮ম শ্রেণির ছাত্রী ঐ কিশোরী তারপর দিন ৪ঠা এপ্রিল সকালে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সালার জন্য গ্রামের লুলাই, পাংখো ও ত্রিপুরা মিলে স্থানীয় আর্মী ক্যাম্পে যান। এসময় বাঘাইহাট জীপ মালিক সমিতির লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। গ্রামববাসীদের পক্ষ থেকে সামাজিকভাবে ২,০০,০০০ টাকা জরিমানা দাবী করেন। বাঘাইহাট জীপ মালিক সমিতির লোকজন জরিমানা হিসেবে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা দেয়া সম্মত হয়। গ্রামবাসীরা রাজী না হওয়ায় ৫ এপ্রিল ২০১৬ মাচালং থানায় ভিকটিমের নানা হেপেন্দ্র ত্রিপুরা বাদী হয়ে এক মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি।
সাজেকে পর্যটন কেন্দ্র ও নতুন ক্যাম্প স্থাপনের পর আদিবাসী নারীদের উপর যৌন সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।