সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন অনতিবিলম্বে প্রণয়নের দাবি
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের জাতীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা স্বত্বেও সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলা, তাদের বাড়ীঘর, দোকনপাট লুট, জমি জবরদখল, নারী অপহরণ ও নির্যাতন আজও অব্যাহতভাবে চলছে। এ প্রসংগে নেতৃবৃন্দ সাম্প্রতিক সময়ে ভদন্ত অমৃতানন্দ ভিক্ষু হত্যা, গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের উপর পুণরায় হামলা-হয়রাণী, পাহাড়ে-সমতলে অব্যাহত সাম্প্রদায়িক উস্কানী, পটুয়াখালীর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক কুয়াকাটার ৮টি দোকান লুটের ঘটনা উল্লেখ করেন।
নেতৃবৃন্দ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়নে প্রশাসনের গড়িমসি ও অনীহায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এরা জনমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এ ব্যাপারে তাঁরা আইনমন্ত্রী ও ভুমিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংখ্যালঘু নের্তৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান অস্থিরতা সৃষ্টির জন্যে দায়ীদের চিহ্নিত করার উপর জোর গুরত্ব আরোপ করেন এবং পার্বত্যভূমিতে আত্মঘাতী সংঘর্ষ বন্ধে পাহাড়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। তাঁরা পার্বত্য শান্তিচুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার দৃশ্যমানভাবে প্রতিফলনের মাধ্যমে পাহাড়ী জনগণের ক্ষোভ ও হতাশা কাটানোর জন্যে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধানের রাষ্ট্রধর্ম রেখে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের ‘সংখ্যালঘু’ হিসেবে না ভাববার রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য অর্থহীন ও হাস্যকর। তারা নাগরিক ঐক্যের স্বার্থে সংবিধানকে অসাম্প্রদায়িকীকরণ করে ৭২-র সংবিধানের মৌল আদলে ফিরিয়ে আনার জন্যে সরকার ও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন এ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত, এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, নির্মল রোজারিও, ইনঞ্জিনিয়ার দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী (), পলাশ কুমার দে, মনীন্দ্র কুমার নাথ, হেমন্ত আই কোড়াইয়া, এ্যাড. কিশোর মন্ডল, এ্যাড. শ্যামল কুমার রায়, রবীন্দ্র নাথ বসু, পদ্মাবতী দেবী, মধুমিতা বড়–য়া, মাধুরী চক্রবর্তী, রাহুল বড়–য়া, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, বিপুল ঘোষ সংকর, কিশোর কুমার বসু রায় চৌধুরী পিন্টু, চন্দন ভৌমিক, অমিতাভ বসাক বাপ্পি, গৌতম রবিদাস, হিমাদ্রি শেখর রায়, রুপচাঁদ বিশ্বাস প্রমুখ সংখ্যালঘু মোর্চাভুক্ত নেতৃবৃন্দ। সমাবেশশেষে এক বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে বেরিয়ে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে পূণরায় সমাবেশস্থলে ফিরে আসে।।