আঞ্চলিক সংবাদ

শেরপুরে গারো তরুণী ধর্ষিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের একটি গ্রামে চতুর্থ শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রী (১১) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝিনাইগাতী থানা-পুলিশ গতকাল শুক্রবার সুজন মারাক (২০) নামে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার বিকেলে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নির্দেশে ওই যুবককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২ মে দুপুরে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির বাবা-মা দিনমজুর। ২ মে সকালে তাঁরা কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই দিন দুপুরে ছাত্রীটি বিদ্যালয় শেষে বাড়িতে আসার পর প্রতিবেশী যুবক মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন ওই যুবক। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ছাত্রীটির বাবা-মা বাড়ি ফিরে এলে তাঁদের সে ঘটনাটি জানায়।
এরপর আদিবাসী একজন নেতা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মীমাংসা না হওয়ায় গতকাল রাতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে যুবককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ যুবককে গ্রেপ্তার করে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান আজ বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া যুবককে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় বিচারিক আদালতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির জবানবন্দি প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
সুজন মারাক ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রীটির বড় ভাই তাঁর (সুজন) মুঠোফোন চুরি করেছিল। ওই ফোনটি আনার জন্য তিনি (সুজন) ওই দিন দুপুরে ছাত্রীটির বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনার পর তিনি ঢাকায় তাঁর বড় ভাইয়ের বাসায় চলে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।

Back to top button