আন্তর্জাতিক

শান্তিতে নোবেল জিতলো পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী সংগঠন আইসিএএন

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ বছর শান্তিতে নোবেল জিতে নিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র বিলোপে প্রচারণাকারী নাগরিক সমাজের জোট ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস (আইসিএএন)। নরওয়ের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সংগঠনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিতে নোবেলজয়ী ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটি পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করে। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির নেতা বেরিট রেইস অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমরা এখন এমন এক বিশ্বে বাস করছি যেখানে পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে আরও বৃহত্তর পরিসরে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’ নোবেল কমিটি জানায়, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ এবং এ ধরনের অস্ত্র বিলোপে একটি চুক্তির জন্য আইসিএনএ’র প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এ সংগঠনকে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বেরিট রেইস আরও জানান, পুরস্কার জয়ের খবরে আইসিএএন নেতা বিট্রিস ফিন ‘আনন্দ’ প্রকাশ করেছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পারমাণবিক অস্ত্র বিলোপে প্রচারণা চালানো সংগঠন আইসিএএন ১০০টিরও বেশি দেশে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ায় কার্যক্রম শুরু করলেও সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে ভিয়েনায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।

পুরস্কার জয়ের পর ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছে আইসিএএন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আণবিক যুগ শুরুর পর থেকে যারা পারমাণবিক অস্ত্র রোধে সোচ্চার থেকেছেন, এসব অস্ত্র রাখার বৈধ উদ্দেশ্য নেই দাবি করে যারা সরব থেকেছেন এবং বিশ্ব থেকে এ ধরনের অস্ত্র বিলোপ করতে যারা সোচ্চার থেকেছেন সেই লাখ লাখ ক্যাম্পেইনার ও বিশ্বের উদ্বেগী মানুষদেরকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করা হচ্ছে।’

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে পোপ ফ্রান্সিস, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, সিরিয়ার উদ্ধারকর্মী দল হোয়াইট হেলমেটস, যৌথভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ, পশ্চিম আফ্রিকান জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ গ্রান্দি, আমেরিকান সিভিল রাইট ইউনিয়নের নাম আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত পুরস্কার জিতে নিয়েছে আইসিএএন।

Back to top button