জাতীয়

শান্তিচুক্তি যাতে বাস্তবায়ন না হয়, সে জন্য ষড়যন্ত্র চলছেঃ ককাস

লংগদু থেকে ফিরে
আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস বলেছে, পার্বত্য শান্তিচুক্তি যাতে বাস্তবায়ন না হয়, সে জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এরই অংশ। এর সঙ্গে তৃতীয় শক্তি জড়িত। ককাস পাহাড়িদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
গত দুই দিন লংগদুর আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে আজ বৃহস্পতিবার সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
ককাসের পক্ষ থেকে বাদশা অবিলম্বে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর তৈরি করে দেওয়া, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পাহাড়িদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং যুবলীগের নেতা হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘এখন লংগদুতে পাহাড়িদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাদের একটাই কান্না, “আমরা কোথায় থাকব? কেন আমাদের নিরাপত্তা নেই?”’
যুবলীগের নেতা হত্যার ঘটনার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে বাদশা বলেন, এর পেছনে এক শ্রেণির রাজনৈতিক শক্তি জড়িত। যারা পার্বত্য শান্তি চুক্তি সইয়ের সময় বলেছিল, চুক্তি হলে ফেনী থেকে বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, যখন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবাযনের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে, ভূমি কমিশন করা হচ্ছে, সেই মুহূর্তে পাহাড়কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করা।
ককাসের সদস্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাঙামাটির ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান।
সংসদীয় ককাসের সদস্য নাজমুল হক প্রধান এবং মেসবাহ কামাল ঘটনার দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মেসবাহ কামাল বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যদের মধ্যে আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ ও জান্নাতুল ফেরদৌসী উপস্থিত ছিলেন।

Back to top button