লামার ফাঁসিয়াখালীতে এক মারমা স্কুল ছাত্রী অপহৃত
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন সাপের ঘাটা গ্রামে হারাকাজা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা ছাত্রীকে (১৩) অপহরণ করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ২৪ তারিখ বিকালের দিকে মেয়েটি প্রতিদিনের মত দাদির বাড়িতে ঘুমাতে যায়। মেয়েটির দাদির বাড়ি নিজ বাড়ি থেকে একটু দূরে। কিন্তু রাত হলেও মেয়েটি দাদির বাড়িতে পৌঁছেনি। মেয়েটির পরিবার মনে করেছিল সে হয়ত দাদির বাড়িতে ঘুমাবে। আর তার দাদি মনে করেছিল সে তার বাড়িতে ঘুমিয়েছে। কিন্তু সকালে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে না আসলে শুরু হয় খোঁজ। অনেক খোঁজার পরেও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
এদিন সকাল ৮ টার দিকে মেয়েটির কাছ থেকে তার বড় বোনের ফোনে কল আসে। এসময় মেয়েটি তাকে একদল বাঙালি ছেলে আটকে রেখেছে বলে জানায়। এদিকে তার বাবা ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারের কাছে এ অপহরণের ঘটনাটি জানায়। এসময় চেয়ারম্যান আসামীদের ধরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন এবং থানায় মামলা না দেয়ার জন্য বলেন বলে জানা গেছে।
মেয়েটির বাবা অংসাপ্রু মারমা জানান, চেয়ারম্যানের কোন পদক্ষেপ না নেওয়াতে তিনি বাধ্য হয়ে ২৬ তারিখের বিকালের দিকে লামা থানায় ছয়জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা করেন। আসামীরা হলেন, ১। মিজানুর রহমান( পিতাঃ সৈয়দ আহমদ) ২। মঞ্জুর আলম(পিতাঃ নুর মোহাম্মদ) ৩। জসীম উদ্দিন (পিতাঃখরম আলী) ৪। মিজান( পিতাঃ ফয়েজ আহমদ) ৫। মঞ্জুর (সফিক আলম) ৬। হাসান মুহম্মদ( পিতার নামঃ মকবুল হোসেন)। আসামীরা এলাকার রাবার প্লটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
তবে আসামিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযোগ করেছেন তার বাবা। তিনি আরও জানান আসামীদের কয়েকজন গত ৩০ মে তার বড় মেয়েকে বেলা দুইটার দিকে নদী থেকে পানি আনতে যাওয়ার সময় এই বলে হুমকি দেয় যে কোন রকম ঝামেলা করলে তোমার ছোটবোনের মত তোমাকেও তুলে নিয়ে যাব। মেয়েটির বাবা আরও জানান, আসামীরা মেয়েটিকে ২৬ তারিখ চকরিয়ায় জোরপূর্বকভাবে নিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করতে যায়। মেয়েটির বাবার অনুরোধে কোর্টে লোকজন তাদেরকে আটকে রাখলেও পরে টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এরপর আসামীরা মেয়েটিকে কক্সবাজারে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা একজোট হয়ে ‘মেয়েটি অপহরণ হয়নি’ এবং উল্টো মামলা দেয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন।