অন্যান্য

লংগদু সহিসংতার ঘটনায় গণশুনানি

রাঙ্গামাটির লংগদুর ৩ পাহাড়ি গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনের গণশুনানি করেছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন— চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মঞ্জুরুল আলম, চট্টগ্রামের ডিআইজির প্রতিনিধি এম এ মাসুদ খান এবং রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাহেদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলা এ গণশুনানিতে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি পরিবারগুলো প্রতিনিধি দলের কাছে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে পাহাড়িদের বসতঘরে লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুণবালা চাকমার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ গুণবালা পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য ১ম শ্রেণী ৩০ লাখ টাকা, ২য় শ্রেণী ২০ লাখ টাকা, এবং ৩য় শ্রেণী ১০ লাখ টাকা নগদ অর্থ প্রদান। আগামী তিন বছর পরিবারের জনসংখ্যা অনুপাতে রেশন প্রদান। ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪ পাহাড়ির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদানসহ উপবৃত্তি প্রদান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

শুনানিতে প্রতিনিধি দলের শংকর রঞ্জন সাহা বলেন, এই প্রতিনিধি দলটি লংগদুর ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি নিজ চোখে দেখতে, ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শুনতে তারা লংগদুতে এসেছে। এরপর তারা এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

গণশুনানিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লংগদুর ইউপি চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র চাকমা, আটারক ছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, নিহত গুণবালা চাকমার মেয়ে কালা সোনা চাকমা, জেএসএস সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা, লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু নাসির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর জাহান বেগম, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বারেক সরকার, সাধারণ সম্পাদক জানে আলম, বগাচতর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ, গুলশাখালী ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুর রহিম প্রমুখ।

গণশুনানি শেষে প্রতিনিধি দল পুড়ে যাওয়া তিনটিলাপাড়া, বাট্ট্যাপাড়া এবং নিহত যুবলীগ নেতা নুরল ইসলাম নয়নের বাসা পরিদর্শন করেন।

Back to top button