লংগদুর ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার
রাঙামাটির লংগদুতে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের পুড়িয়ে দেওয়া বসত ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক চিঠি পেয়েছেন বলে জানান লংগদুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহেদী ঈমাম।
সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যা কেন্দ্র করে গত ২ জুন তিনটি গ্রামের ২১২টি পাহাড়ি পরিবারের বসতঘর ও আটটি দোকান ভস্মীভূত করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর গত দুইমাস ধরে গৃহহীন এই পরিবারগুলো তিনটিলা বনবিহার, মানিকজোরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লংগদু সরকারি হাই স্কুল ও লংগদু বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে বাস করছে।
আবার কেউ কেউ অস্থায়ী টংঘর নির্মাণ করে পুড়ে যাওয়া বসতভিটার পাশেই বাস করছেন।
ইউএনও জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আবুল কালাম শামসুদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ২৪ জুলাই পেয়েছেন। চিঠিতে ২১২ টি পরিবারের জন্য তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর, রান্নাঘর ও শৌচাগার এবং ভস্মীভূত ৮ টি দোকান নির্মাণে অর্থ বরাদ্দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে বসতঘর নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ও নকশা পাঠাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেহেদী ঈমাম বলেন, “আমরা নকশা ও সম্ভাব্য ব্যয় তৈরির কাজ করছি। শিগগিরই তা পাঠিয়ে দেব।”
গত ১ জুন যুবলীগ নেতা নয়ন নিখোঁজ হয়। ওইদিন খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নয়নের লাশ পাওয়া যায়। পরদিন লংগদুতে আনার পর লাশসহ মিছিল নিয়ে তিনটিলা, বাইট্টাপাড়া ও মানিকজোড় গ্রামের পাহাড়িদের বসতবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত একজন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এম এ হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুরাদসহ ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাছাড়া নয়ন হত্যায় জুনেল চাকমা (১৮) ও রনেল চাকমা (৩৩) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।