মতামত ও বিশ্লেষণ

লংগদুর অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক হামলার এক বছরঃ বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, জন উদ্যোগ, আইইডি ও কাপেং ফাউন্ডেশন

রাঙ্গামাটি জেলাধীন লংগদু উপজেলায় সাম্প্রদায়িক হামলার বর্ষপূতির উপলক্ষ্যে ‘লংগদুর অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক হামলার এক বছর: গৃহনির্মাণসহ সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আয়োজিত আজকের আয়োজনে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। বাংলাদেশের মত উন্নয়শীল দেশে লংগদুর মত একটি পশ্চাদপদ ও প্রান্তিক জনপদ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দু’দুবার বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনার শিকার হল। ১৯৮৯ সালে লংগদুর উপর একবার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিল। ইতিহাসের পুনারবৃত্তি ঘটে আবারো ২০১৭ সালের ২রা জুনে।
কি ঘটেছিল সেদিন?
গত বছরের ১ জুন ২০১৭ খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কে সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার শিকার মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ উদ্ধারের পর এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে গত ২ জুন ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উস্কানিতে ও নেতৃত্বে সেটেলার বাঙালিদের কর্তৃক লংগদু উপজেলা সদরের পাহাড়ি অধ্যুষিত তিনটিলা, মানিকজোড়ছড়া ও বাত্যাপাড়া গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ হামলায় তিনটিলায় জুম্মদের ৯টি দোকানসহ কমপক্ষে ১২২টি ঘরবাড়ি; মানিকজোড়ছড়ায় ৬টি দোকানসহ ৮৬টি ঘরবাড়ি এবং বাত্যা পাড়ায় ৪টি দোকানসহ অন্তত ২৮টি ঘরবাড়ি- সর্বমোট ২৩৬টি বাড়ি ও দোকান সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয় এবং ৮৭টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনটিলা এলাকায় গুণমালা চাকমা নামে ৭৫ বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধা পালিয়ে যেতে না পারার কারণে ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার শিকার হয় এবং হামলাকারীদের মারধরের শিকার হন অনেক জুম্ম গ্রামবাসী। সেটেলার বাঙালিরা ঘরবাড়ি ও দোকানের মূল্যবান জিনিষপত্র ও মালামাল, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী লুট করে নিয়ে যায় এবং শুকরগুলো মেরে ফেলে দিয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া তিনটিলা, মানিকজোড়ছড়া ও বাত্যা পাড়ার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার কেউই কোন সহায় সম্পত্তি রক্ষা করতে পারেনি এবং এক কাপড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে কোন রকমে জীবন রক্ষা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীদের তালিকা অনুযায়ী যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রাথমিক থেকে কলেজ পড়–য়া ২৫৬ জন ছাত্র/ছাত্রীর পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষা সামগ্রী, পোষাক পরিচ্ছদ সম্পূর্ণরূপে অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায়। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মানিকজোড়ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামে লংগদু নিম্নে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটিলা বৌদ্ধ বিহার- এই তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র এবং আত্মীয়-স্বজনের ঘরবাড়িতে গাদাগাদি করে বর্ষাকালে মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হন এবং স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের বই পুস্তক, স্কুল ড্রেস ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন।
সরকারের প্রতিশ্রুতি:
ঘটনার পর পরই মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশাহসহ ১৪ দলের একটি প্রতিনিধিদল, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্ত পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের তৎকালীন চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল সফর করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা তাদের দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি এসব মন্ত্রী ও কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ি নির্মাণ বাবদ যথোপযুক্ত অর্থ ও কমপক্ষে তিন বছরের রেশনসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ পুনর্বাসন এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জুম্মদের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের অচিরেই গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানিয়েছিলেন সেইসময়। সর্বশেষ গত ২৩ জুন ২০১৭ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্ত জুম্ম গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলতে গেলে সেদিন ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের দাবিনামা আবারো তুলে ধরেন। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) নেতৃত্বে গঠিত ৫-সদস্য তদন্ত কমিটি গত ৬ জুলাই ২০১৭ লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে গণশুনানী করতে গেলে তাদের কাছেও জুম্ম ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের দাবিনামা তুলে ধরেন।
ক্ষতিগ্রস্থদের বর্তমান অবস্থা:
হামলার পর একবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি নির্মাণ এখনো শুরু হয়নি। এমনকি কবে নাগাদ তা শুরু হবে বা সম্পন্ন হবে এ নিয়েও রয়ে গেছে অনিশ্চয়তা। উল্লেখ্য যে, ঘটনার কিছু দিন পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে পুনর্বাসন বাবদ নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় এ বরাদ্দ একেবারে অপ্রতুল হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহ বাড়ি নির্মাণসহ তাদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তা কাজে লাগবেÑএই আশায় তা গ্রহণ করতে রাজি হয়। কিন্তু পরে সরকার পরিবার পিছু নগদ টাকা প্রদানের পরিবর্তে সরকারের আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২১২টি পরিবারের বসতগৃহ (৩ কক্ষ বিশিষ্ট) ও ৮টি দোকান নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ক্ষতিগ্রস্ত জুম্মরা সরকার কর্তৃক বাড়ি নির্মাণের পরিবর্তে নগদ অর্থ দাবি করে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি উপেক্ষা করে এবং ভাড়াটিয়া দোহাই দিয়ে ৩৬টি পরিবারকে বাদ দিয়ে সরকার ১৭৬টি পরিবারের প্রতি বাড়ি নির্মাণ বাবদ আইটি ভ্যাট ১০%সহ ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে। এমতাবস্থায় টেন্ডার ছাড়া প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে বাড়িগুলি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি জানায়। কিন্তু সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে উক্ত ১৭৬টি বাড়ি নির্মাণ করা হবে সিদ্ধান্ত নেয়। বাজার মূল্যের তুলনায় গৃহনির্মাণের প্রাক্কলিত বাজেট কম হওয়ায় ইতিপূর্বে দুই দুইবার দরপত্র (৪টি গ্রুপে) ঘোষণা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ি নির্মাতা কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উক্ত বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র দাখিল করেনি। পরে আবার ৭৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে (মোট ৫ লক্ষ ৯৭ হাজার) তৃতীয়বারের মতো টে-ার (৬ গ্রুপে) দেয়া হলে ঠিকাদাররা ৯.৫% বাড়তিতে দরপত্র দাখিল করেন। এই ৯.৫% বাড়তি নিয়ে আরেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ঠিকাদারদের উক্ত বাড়তি ৯.৫ পার্সেন্টও অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদনের পর সিকিউরিটি অর্থ জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল ৩১ মে ২০১৮।
কিন্তু তার আগেই ৩০ মে ২০১৮ কোন ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া এবং সরকারি লোকজনের অনুপস্থিতিতে (মন্ত্রী-এমপি-জনপ্রতিনিধি-সরকারি কর্মকর্তা না হয়েও) ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদার তিনটিলা গ্রামের একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ঘরনির্মাণ উদ্বোধন করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয় যে, লংগদু ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বস্তুত এখনো গৃহনির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে ঠিকাদারদেরকে কার্যাদেশও (ওয়ার্ক অর্ডার) দেয়া হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে তারও কোন দিন ক্ষণ নির্ধারিত হয়নি। কয়দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে তাও এখনো নির্ধারিত হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত জুম্মদের কিছু পরিবার এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে, কিছু পরিবার ভাড়া বাসায়, কিছু পরিবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে এবং অনেক পরিবার অস্থায়ী ছোট মাচাং ঘর তুলে কোন মতে সময় অতিবাহিত করছে। বিশেষ করে যারা অস্থায়ী মাচাং ঘর বা আশ্রয়স্থল তৈরী করে রয়েছে তারা কনকনে শীতের সময়টা পার করে এখন কাল বৈশাখী ও বর্ষায় একপ্রকার মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকে কঠিন এক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। অধিকন্তু নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কাটেনি স্থানীয় পাহাড়িদের মন থেকে। আবার কখন হামলার শিকার হতে হয়, এই ভয় এখন স্থানীয় পাহাড়ীদের মনে বিরাজ করছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত অক্টোবর ২০১৭ হতে এক বৎসরের জন্য পরিবার প্রতি মাসিক ৩০কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। তাই কঠিন বাস্তবতার কথা বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকে আরও তিন বছরের জন্যরেশন বরাদ্দ করাসহ যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে বিবেচনা করা যায়।
সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার ঃ
তবে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে উক্ত সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটনার এক বৎসর অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দোষীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত হয়নি। উপরন্তু দোষীদের গ্রেফতারসহ উক্ত ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিতকরণেও দেখা যাচ্ছে চরম অনিশ্চয়তা। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে কিশোর চাকমা ও লংগদু থানা পুলিশের পক্ষে এসআই দুলাল কর্তৃক দায়েরকৃত দুটি মামলার ঘটনার পরপর ৩৪জনকে গ্রেফতার করা হলেও একজন ব্যতীত সবাইকে জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার মূল হোতা অধিকাংশ আসামী এখনও গ্রেফতারের বাইরে রয়ে গেছে এবং তারা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। গুণমালা চাকমাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তার মেয়ে কালাসোনা চাকমা মামলা করলেও তা জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। আশ্চর্যজনক যে, গুণেমালাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলেও তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশ্বাসই করে না। পুড়ে যাওয়া হাড়গোড় ডিএনএ পরীক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসন গড়িমসি করে চলেছে। অপরদিকে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে এত বড় নৃশংস ঘটনা ঘটলেও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বা আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনিতর অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তরা ন্যায় বিচার নিয়ে আশঙ্কা করছেন। এই বিচারহীনতার কারণে এভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে।অপরদিকে মো. মাহবুব মিয়া এবং মো. মারফত আলী কর্তৃক হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পৃথক ২টি মিথ্যা মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত সুপারিশ তুলে ধরা হল-
১.২ জুন ২০১৭ লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিকান্ডের সাথে জড়িত সাম্প্রদায়িক হামলাকারী এবং গুণমালা চাকমা হত্যাকারীদের অচিরেই গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক সুবিচার নিশ্চিত করা;
২.ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি পরিবারসমূহকে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুসারে আরও ৩ বৎসরের জন্য রেশন প্রদানসহ দ্রুত বাড়িঘর নির্মাণের মাধ্যমে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
৩.হামলার পর পাহাড়িদের নামে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা;
৪.পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ, দ্রুত ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে সময়সূচি ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
‘লংগদুর অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক হামলার এক বছর: গৃহনির্মাণসহ সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভা মূল বক্তব্য
৬ জুন ২০১৮,বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, ঢাকা

Back to top button