আঞ্চলিক সংবাদ

লংগদুতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীদের উৎসব বর্জনের ঘোষণা

রাঙামাটির লংগদুতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি পাহাড়ী গ্রামে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দশ মাসেও বাড়ী ঘর নির্মাণ করে না দেওয়ার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী সম্প্রদায়ের অন্যতম সামাজিক উৎসব বিজু, সাংক্রাইন, বৈসুক,বিষু বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ২১৩ পরিবার।

শনিবার খাগড়াছড়ি জেলা ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির উদ্যোগে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদানকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এ ঘোষনা দেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা আরো বলেন, যে জায়গা ঘরবাড়ি না থাকায় মানবেতর ও অর্থ অভাবে জীবন করছি সেই জায়গায় এই আনন্দ উৎসব করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এবারের এই উৎসব আননন্দের পরিবর্তে বিষাদে পরিণত হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এই উৎসব বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির লংগদু উপজেলা কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দেন লংগদু ইউপি চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র চাকমা, আঠারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গলকান্তি চাকমা, খাগড়াছড়ির পেরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তপন কান্তি ত্রিপুরা, ক্ষতিগ্রস্ত মনি শংকর চাকমা। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির সদস্য নিপুল কান্তি চাকমা, কালা ত্রিপুরা ও মঞ্জু লাল দেওয়ান।

পরে লংগদুতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২১৩ পরিবারকে খাগড়াছড়ি জেলা ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে এক হাজার টাকা করে ২লাখ ১৩ হাজার অর্থ সহায়তা তুলে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গেল বছর ২ জুন স্থানীয় যুবলীগ নেতা নূরুল ইসলাম নয়কে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলার তিনটি পাহাড়ী গ্রামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ২১৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৭৬টি ঘরবাড়ী নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখণো পর্ষন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি।

Back to top button