জাতীয়

রামগড়ে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি গ্রামে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রামগড়ে গতকাল ৩০ জুন রাতে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানী সৃষ্টি করে পাহাড়ি গ্রামে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধ ও পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকার কারণে তা ভন্ডুল হয়ে যায়। জানা গেছে রাত সোয়া দশটার দিকে রামগড় পৌরসভা ও সোনাই’আগা গ্রামের সীমানা বরাবর স্লুইশগেট এলাকায় ১০/১২ জন সেটলার দুষ্কৃতকারী প্রথমে নিজের দুইটি পটকা ফুটায়। এরপর তারা নিজেরাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয় এবং ‘শান্তিবাহিনী এসেছে, শান্তিবাহিনী হামলা করেছে বলে এলাকার সাধারণ সেটলারদের জড়ো করতে থাকে এবং উত্তেজিত করতে থাকে।

সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ারডের ইউপি মেম্বার মোঃ হোসাইন, সাবেক পৌর কমিশনার মোঃ জসীম, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নুরুন্নবী, মোঃ মিন্টু এ সময় উত্তেজিত সেটলারদের নেতৃত্ব দেয় বলে জানা গেছে।

তাদের উস্কানীতে শত শত সাধারণ সেটলার গ্রামবাসী একত্রিত হয়। এরপর তাদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয় যে, শান্তিবাহিনীরা ৪ জনকে গুলি করেছে, অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এতে সাধারণ সেটলারদের উগ্র অংশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা পথের পাশের পাহাড়ি ঘর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর ও পাহাড়িদের ধর ধর বলে শ্লোগান দিতে দিতে সোনাই আগা পাহাড়ি জনগণের ঘরে হামলা চালাতে থাকে।

তারা হাম্প্র ত্রিপুরা নামে সোনাই আগা গ্রামের একজনকে মারপিট করে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় সোনাই আগা, ব্রত চন্দ্র কার্বারী পাড়ার পাহাড়ি সাধারণ জনগণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে তারা তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে জংগলে আশ্রয় নেয়। বেশ কয়েক পরিবার বাংলাদেশ সীমানা পার হয়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়।

সেটলারদের একটি অংশ এই ঘটনা সাজানো নাটক সাজানো নাটক বুঝতে পেরে পরে নিজেদের বাড়িঘরে চলে যায়। তবে সেটলারদের , উত্তেজিত উগ্র অংশটি রাত দুইটা পর্যন্ত একত্রিত হয়ে থাকে। এই সময় সেখানে বিজিবি অবস্থান করলেও তারা উত্তেজিত সেটলারদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। তবে পরে পুলিশ এসে সেটলারদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। পরে তারা উস্কানীমূলক শ্লোগান দিতে দিতে সেখান থেকে চলে যায়।

এছাড়া অন্য এক সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, মূলত, সেখানকার পাহাড়ি গ্রামবাসীরা পাহাড়ি গ্রামে বাঙালি সিএনজি ঢুকতে মানা করে । এই ঘটনাকে পুঁজি করে এই সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।

Back to top button