জাতীয়

রাণী য়েন য়েন এর উপর হামলার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে নাগরিক সমাজের সংবাদ সম্মেলন

বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার দুই মারমা তরুণীদের এবং ভলান্টিয়ারদের উপর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার বিকালে শহরের রাজবাড়ীস্থ সাবারাং রেস্টুরেন্টে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন । নাগরিক সমাজের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন সমূহ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, হিমাওয়ান্তি, উইমেন্স রিসোর্স নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম কার্বারী নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি , বৃহস্পতিবার অনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের বিলাইছড়িতে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার দুই মার্মা তরুণীর সাথে অবস্থানরত চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন ও ভলান্টিয়ারদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। এতে রাণী সহ কয়েক জন ভলান্টিয়ার আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক নারী ভলান্টিয়ারকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ করেছেন নেতারা। নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রহ্মাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঐদিন একই সময়ে দুই মারমা তরুনীকে তুলে নেয় হাসপাতাল থেকে।
এই ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে দায়ি করে রাঙ্গামাটির ৬ সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রেস কনফারেন্সে অভিযোগ করা হয় হাইকোটের এক আদেশ মোতাবে গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টায় দিকে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সদাপোশাকধারী নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ( পুরুষ ও নারী ) ভ’ক্তভোগীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদেরকে মা-বাবার হেফাজতে দেওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার অযোগ করেছে নেতরা ।
৬ সংগঠনের নেতারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় ওয়ার্ডের পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের বিভিন্ন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন এবং এর সাথে আরো সাদা পোশাকধারী অনুমানিক ১০ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ ছিল । এদের মধ্যে নারীরা ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা ও পুরুষেরা মাস্ক পরা অবস্থায় ছিল।
নেতারা আরো বলেন, প্রশাসনে এহেন জবরদস্তিমূলক আচারণে নাগরিক সমাজ মনে করে পার্বত্য চুক্তির অভিপ্রায়ের সাথেও সাংঘর্ষিক।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের নেতারা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন,
দাবীগুলো হলো—বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও যথাযথ ক্ষমতা সম্পূন্ন একটি তদন্ত কমিটি দ্রুত গঠন করা , হামলার ঘটনার জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও শাস্তির প্রদান করা, ভ’ক্তভোগী মার্মা দুই তরুণীর বর্তমান অবস্থান নিরুপন করে তার একটি সুস্পষ্ট প্রতিবেদন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে প্রেরণ করা , দুই মার্মা তুরণী সহ পরিবারের নিরাপত্তা বিধান করা, চাকমা রাজপরিবার সহ সংশ্লিষ্ট সকল শুভাঙ্খীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানে নেতৃন্দ্রেীদের ৬ সংগঠনে নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা মারমা তরুণীদের কোন হদিস মিলাতে পারছেনা এবং নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রহ্মাকারী বাহিনীর সদস্যরা কোথায় রেখেছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

Back to top button