রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার, রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ারউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, বোমাং সার্কেল চীফ উ চ প্রু, মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান কংজুরী চৌধুরী একটি ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় সভায় যোগদান করতে পারেননি বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকটি প্রায় দুইঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার-উল হকের মেয়াদ গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে শেষ হয়েছিল। গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ সরকার বিচারপতি আনোয়ার-উল হকের চুক্তির মেয়াদ আরো তিন বছরের জন্য বৃদ্ধি করেছে। নতুন নিয়োগ পাওয়ার পর আজ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ বান্দরবান জেলার সার্কিট হাউজে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক বছর পর এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন, শাখা অফিস স্থাপন, কমিশনের জনবল নিয়োগ, প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা, বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন সংশোধনের সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ার-উল হক বলেছেন, ‘ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ভূমি প্রদানের মাধ্যমে ভূমি কমিশনের কাজ শুরু করবো। এছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবানের দ্রুত দুটি শাখা অফিস খোলা হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন করা জরুরী বলে মন্তব্য করে বলেন, প্রবিধান প্রণয়ন না হলে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যাবে না। এছাড়া ভূমি কমিশনকে দ্রুত কার্যকর করতে লোকবলও নিয়োগ দিতে হবে।