জাতীয়

রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন পাহাড়িরাঃ ৪ উপজেলায় ৫০০র অধিক নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ ৩০ ডিসেম্বর, শনিবার : সম্প্রতি ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন থেকে শত শত পাহাড়ি সদস্য পদত্যাগ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ও রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা থেকে পাঁচ শতাধিক জুম্ম পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা কোন রাজনৈতিক দল থেকে এভাবে গণহারে পদত্যাগ নি:সন্দেহে নজীরবিহীন। পদত্যাগী ব্যক্তিরা পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণকেই উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ না থাকার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত ক্ষোভের কারণেও পদত্যাগ করছে বলে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন।
ইতিমধ্যে রাঙামাটি সদরসহ চার উপজেলার ৫১৬ জন পাহাড়ি নেতা-কর্মী ঘোষণা ও বিবৃতি দিয়ে দল ছেড়েছেন। তার মধ্যে রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় ৮ ডিসেম্বর জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল কুমার চাকমাসহ ১২ নেতা-কর্মী বিবৃতি দিয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর ১১১ জন, ১১ ডিসেম্বর ৫১ জন, ১২ ডিসেম্বর ৮৮ জন, ১৩ ডিসেম্বর ৭৫ জন, ১৪ ডিসেম্বর ৪৩ জন এবং ১৫ ডিসেম্বর ১০ জন দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রমত কান্তি চাকমাসহ তিন নেতা ২০ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। আর বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩২ জন পাহাড়ি নেতা-কর্মী ১৩ ডিসেম্বর দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। এরপর ১৫ ডিসেম্বর আরও ২১ জন বিবৃতি পাঠিয়ে দল থেকে সরে দাঁড়ান। ১৬ ডিসেম্বর রাঙামাটির সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৬ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের ৬ সদস্য ১৯ ডিসেম্বর এবং উপজেলা কমিটি ও শ্রমিক লীগের এক নেতাসহ ৮ জন পদত্যাগ করেন ২০ ডিসেম্বর। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিকো চাকমা তার পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে সংগঠনের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
চার উপজেলায় বিভিন্ন তারিখে পদত্যাগকারীর সংখ্যা :-
জুরাছড়ি ৮ ডিসেম্বর ১২ জন
জুরাছড়ি ১০ ডিসেম্বর ১১১ জন
জুরাছড়ি ১১ ডিসেম্বর ৫১ জন
জুরাছড়ি ১২ ডিসেম্বর ৮৮ জন
জুরাছড়ি ১৩ ডিসেম্বর ৭৫ জন
জুরাছড়ি ১৪ ডিসেম্বর ৪৩ জন
জুরাছড়ি ১৫ ডিসেম্বর ১০ জন
জুরাছড়ি ২০ ডিসেম্বর ৪ জন
বাঘাইছড়ি ১৩ ডিসেম্বর ৩২ জন
বাঘাইছড়ি ১৫ ডিসেম্বর ২১ জন
রাঙামাটি সদর ১৬ ডিসেম্বর ৫৬ জন
বিলাইছড়ি ১৯ ডিসেম্বর ৬ জন
বিলাইছড়ি ২০ ডিসেম্বর ৮ জন
মোট ৫১৭ জন
মূলত দুই দশকেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনমনে যে অসন্তোষ এতদিন ছাঁইচাপা ছিল সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ তারই বহি:প্রকাশ বলে অনেকে মনে করেন। আর সরকার দলীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ হীনস্বার্থকে চরিতার্থ করার মানসে প্রকৃত সত্যেকে আড়াল করে নানা প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে যা পরিস্থিতিকে আরো বেশি জটিল করে তুলতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
আওয়ামীলীগ থেকে জুম্মদের এই পদত্যাগে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এবং করছেন অনেকে তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। যারা এতদিন আওয়ামীলীগের পতাকাতলে তথাকথিত উন্নয়নের ঘুম পাড়ানির গল্প শুনেছেন, শান্তির প্রত্যাশায় বৃথা দিনাতিপাত করেছেন তাদের বোধোদয় হয়েছে বলে নাগরিক সমাজের অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেল। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয় সেটা তারা বুঝতে পেরেছেন এবং তার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ গণহারে পদত্যাগ করছেন। বাঘাইছড়ি সদর ইউপি সদস্য ও বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি পদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী সমিরন চাকমা (৪০) তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, “আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি হিসেবে কাজ করে আসছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে ঐতিহসিক শান্তি চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় সমগ্র জুম্ম জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাই আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিজ ইচ্ছায় সামাজিক কমিটমেন্ট বজায় রাখার স্বার্থে পদত্যাগ করিলাম। আজ থেকে আমি জুম্ম সমাজে স্বাধীন ও দায় মুক্ত মনে করি”।
পদত্যাগকারীরা তাদের পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ উল্লেখ করলেও আওয়ামীগের জেলা নেতৃবৃন্দ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পদত্যাগের জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করে বিবৃতি দিয়েছে এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। ১২ ডিসেম্বরে দেয়া এক বিবৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বলেছেন- “পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে পাহাড়ি নেতাকর্মীদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ধরনের চাপে যদি কোনো নেতাকর্মীকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়, তাহলে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ তা গ্রহণ করবে না। হত্যার ভয় আর পদত্যাগে বাধ্য করে এখানে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না”। তিনি আরো বলেছেন- “শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তিকে ঘিরে সন্তু লারমা পার্বত্য জেলায় আগুন লাগানোর যে হুমকি দিয়েছেন তারপর থেকে এ ঘটনা ঘটছে”।
গত ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকালে বিলাইছড়ি দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, “অবৈধ অস্ত্র ঠেকিয়ে ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে আঞ্চলিক দলগুলো উঠে পড়ে লেগেছে”। দীপঙ্কর তালুকদারের এ অভিযোগের পরপরই রাঙ্গাপানি এলাকার নিজ বাড়ী থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমাকে তার ছেলেসহ গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জনসংহতি সমিতি আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার কোনো ঘোষণা দেয়নি, দেওয়া সম্ভবও নয়। জনসংহতি সমিতি চুক্তি বাস্তবায়নে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। আওয়ামী লীগের আন্ত:কোন্দলের জেরে এসব ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারটা চাপা দিতে তাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে।
জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের বিনয় কুমার ত্রিপুরা বলেছেন যে, এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশনের একমাত্র উদদ্দেশ্য হচ্ছে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় জনসংহতি সমিতির উপর চাপানো এবং চুক্তি বাস্তবায়নের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে স্তব্ধ করে দেয়া। জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মী, সমর্থকদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকাছাড়া করা। তিনি আরো বলেন, আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চুক্তি বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ পদত্যাগ হতে পারে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির বরকলে ভূষণছড়া ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর অতর্কিত হামলা এবং গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
২৯৯ পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা উদোর পি-ি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।’ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামে কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ব্যাপারে পার্বত্য জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার সেনা-পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেছেন, অভিযানের নামে রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা নিরীহ মানুষের হয়রানি কাম্য নয়। প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ুক তা সবাই চায়। কিন্তু অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করলে পারষ্পরিক দূরত্ব বাড়বে। এতে করে সমস্যার কোন সমাধান হবে না।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দুর্বৃত্ত কর্তৃক রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জুরাছড়ি ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা, একই রাতে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রামচরণ মারমা ওরফে রাসেলকে নিজ বাড়িতে মারধর এবং ৬ ডিসেম্বর বুধবার গভীর রাতে রাঙামাটি শহরের বিজয়নগর (ভালেদী) এলাকায় নিজ বাড়িতে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ঝর্ণা খীসাকে হামলা করে।
এসব ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর রামচরণ মারমা ওরফে রাসেল কর্তৃক ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ১০/১২ জন অজ্ঞাতানামার বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায়, এসআই মো: মঈনউদ্দিন কর্তৃক ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে জুরাছড়ি থানায় এবং ঝর্ণা খীসা কর্তৃক ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় পৃথক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া ১২ ডিসেম্বর মো: নজরুল ইসলাম নামে জনৈক সেটেলার বাঙালি কর্তৃক ২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা এবং ২৩ ডিসেম্বর সজীব তঞ্চঙ্গ্যা নামে বিলাইছড়ির গোয়াইনছড়ি জনৈক গ্রামবাসী কর্তৃক ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০/১২ অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ এনে বিলাইছড়ি থানায় আরো দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। তারও আগে ২০ নভেম্বর অমৃত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা কর্তৃক ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এসব ছয়টি মামলায় অভিযুক্ত (নাম উল্লেখ করে) মোট ১১২ জন এবং গ্রেফতারকৃত ২৫ জন ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই নিরীহ লোকজন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তিই জনসংহতি সমিতির সদস্য বা সমর্থক। জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমার মতে, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যেই জনসংহতি সমিতির সদস্য ও সমর্থকদের এভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জনসংহতি সমিতির কোন সদস্যই জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন।
সজীব চাকমা আরো বলেছেন, একমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নই পার্বত্য এলাকার সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের যে হিসাব দেখাচ্ছে তাতে শুভংকরের ফাঁকি আছে। চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোই এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। জনসংহতি সমিতি অস্ত্রের রাজনীতি ছেড়ে এসেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিতর্কিত করার জন্য নানাভাবে শাসকগোষ্ঠী অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ তিনি দাবি করেন, দুই পক্ষের ভুল-বোঝাবুঝিতে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. সাঈদ তারিকুল হাসান এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবনতি ঘটেনি। ওই সব নিছক দুর্ঘটনা। এমনটা সারা দেশেই মাঝেমধ্যে হয়। সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

Back to top button