রাঙামাটি বরকল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরকল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন; কিন্তু ওই শিক্ষা কর্মকর্তা সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে উল্টো শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলতাব হোসেন ২০১০ সালে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি যোগ দেওয়ার পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে যাচ্ছেন। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা থেকে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেটে রাখা, বিদ্যালয়ে মেরামত কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ১০ শতাংশ টাকা আদায়, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশন কাজে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রতিটি বদলির প্রস্তাবে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় তাকে। উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে তিন ধাপে দপ্তরি-কাম প্রহরী নিয়োগে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা ঘুষ নেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ না করে সব অর্থ আত্মসাৎ করেন।
প্রাথমিক শিকক্ষ সমিতির বরকল উপজেলা ও জেলা সভাপতি অমল চাকমা বলেন, ভুক্তগোগী শিক্ষকরা যেসব অভিযোগ এনেছেন তা সবই সত্য। সরেজমিনে তদন্ত করলে তার সত্যটা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবী করেছেন।
বরকল উপজেলার সহকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মিলিন্দ চাকমা দাবি করে বলেন, ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম দুনীর্তি স্বজনপ্রীতিসহ পক্ষপাত মূলক আচরনে শিক্ষক সমাজ হতাশা গ্রস্থ। শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কার্যক্রম শিক্ষকদের জন্য চরম বেদনাদায়ক। এতে উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বাধা গ্রস্থ হওয়া সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে জানান তিনি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলতাব হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষকদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে উল্টো শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, তিনি এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।