আঞ্চলিক সংবাদ

রাঙামাটিতে ব্রাশফায়ারে সহকারী পুলিং কর্মকর্তাসহ নিহত ৭

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ফেয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে সহকারী পুলিং কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- সহকারী পুলিং কর্মকর্তা ও কিশোলয় সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের সহকারী শিক্ষক আমীর হোসেন, আনসার-ভিডিপির নেত্রী জাহানারা, আনসার-ভিডিপি সদস্য বিলকিস আক্তার ও আল-আমীন, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত। অপর একজনের নাম জানা যায়নি। গুরুতর আহতদের মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কাচলং কলেজের প্রভাষক আব্দুল হান্নান আরব, তৈয়ব ও মনিরের নাম জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটগ্রহণ শেষে দু’টি জিপগাড়িযোগে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফিরছিলেন তারা। পথে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছলে পাহাড়ের উপর থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এতে আমীর হোসেন, বিলকিস আক্তার ও আল-আমীন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত, জাহানারা ও অজ্ঞাতপরিচয় একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৬ জন আহত হয়, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত আব্দুল হান্নান আরবের মাথায় গুলি লেগেছে।

বাঘাইছড়ি থানার ওসি এমএ মঞ্জুর বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফেয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে। নিহতদের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারোয়ার বলেন, আহতদের হেরিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামে সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।

Back to top button