জাতীয়

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিধিমালা চুড়ান্ত হলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জমা পড়া ২২ হাজার আবেদনের শুনানী শুরু হবে বলে জানিযেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি(অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক।
মঙ্গলবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের (ল্যান্ড কমিশন) ৬ষ্ঠ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে ভূমি কমিশনের বিধিমালা খসড়া তৈরী হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এই খসড়ার উপর সংশোধনী দেয়ায় তা চুড়ান্ত করণের পর্যায়ে রয়েছে। সহসা এই বিধিমালা প্রনীত হলে ভূমি কমিশনে জমা পড়া বিরোধ সংক্রান্ত ২২ হাজার আবেদনের শুনানী শুরু হবে।
বৈঠকে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তিতে কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় বলেও তিনি জানান।
কমিশনের সদস্য সন্তু লারমা জানান, বিধি প্রনয়ন ছাড়া কমিশনের কাজ এগিয়ে নেয়া সম্ভভ নয়। সরকার যত দ্রুত বিধি মালা প্রয়নয় করে করবে কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে।
এর আগে আড়াই ঘন্টা ব্যাপী রাঙামাটি সার্কিট হাউজে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক। এতে কমিশনের অন্যতম সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, চাকমা সার্কেলের প্রধান চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, বান্দরবান বোমাং সার্কেলের প্রধান উ চ প্রু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, বান্দরবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরী, মং সার্কেলের প্রতিনিধিসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের অন্যতম সদস্য সন্তু লারমা সাংবাদিকদের বলেন, বিধিমালা প্রনয়ন ছাড়া ভূমি কমিশনের কাজ এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। সরকার যত দ্রুত বিধি মালা প্রয়নয় করে কমিশনের কাজ শুরু করতে পারবে।
অপর সদস্য চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী যারা এখনো পুনর্বাসিত হতে পারেনি তাদের বিষয়ে ভূমি কমিশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে বলে এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

Back to top button