জাতীয়

ম্রো আদিবাসীদের প্রথম লেখক ইয়াংঙান ম্রো পেলেন জয়বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা):  ম্রো আদিবাসীদের  প্রথম লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রো পেলেন জয়বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড । সেরা প্যাথ ফাইন্ডার এওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এই জয় বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করলেন তিনি। মূলত তাঁর লেখালেখি, গবেষণা ও সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমের জন্যই এই পুরষ্কার বলে আইপিনিউজকে জানান লেখক ইয়াংঙান ম্রো।
গতকাল রাজধানী সাভারের শেখ হাসিনা যুব ইনস্টিটিউটে অনুষ্টিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।  তাঁর এ অর্জনে তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই।

এক মুঠোআলাপে ইয়াংঙান ম্রো আইপনিউজকে বলেন, খুব ভালো লাগছে পুরষ্কার পেয়ে। যে দুর্গমতার মধ্যে আমার বেড়ে ওঠা সেখান থেকে উঠে এসে এই ধরণের জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করাটা আমার জন্য গৌরবের।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর কাছ থেকে পুরষ্কার নিচ্ছেন লেখক ইয়াংঙান ম্রো ।

তিনি আরো বলেন, আমি এখন পাঠাগার পরিচালনা করছি। সাথে নানা ধরণের সমাজ সেবামূলক কাজগুলো চালিয়ে যাচ্ছি। সেই কাজগুলো চালিয়ে নেওয়ার পথে এই পুরষ্কার আমাকে উৎসাহিত করেছে।

ইয়াংঙান ম্রো’র জন্ম বান্দরবান পার্বত্য জেলার চিম্বুক পাহাড়ে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্য ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই সময় ম্রোদের মধ্যে স্নাতকোত্তরধারী দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পাস করে নয়টা-পাঁচটার চাকরি না করে লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ইয়াংঙানের প্রকাশিত ১৫টি বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুই খণ্ডে প্রকাশিত ম্রোদের ক্রামা ধর্মগ্রন্থ রিইয়ুং খাতি, ক্রামাদি, ম্রো রূপকথা, ম্রো ভাষায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী ঘোষণাপত্র, ম্রো ভাষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, ম্রো ওয়ার্ড বুক (ম্রো লাইসম বইক), ম্রো গানের বই (ম্রোচ্য মেং বইক)। প্রকাশিতব্য বইয়ের তালিকায় আছে ১০১ জন ম্রো ব্যক্তিত্বের জীবনী ও আত্মজীবনী বেদনার মহাকাব্য। পাশাপাশি নিজ জনগোষ্ঠীর গল্পগুলো তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চিম্বুক পাহাড়ের রামরিপাড়ায় সম্প্রতি একটি পাঠাগার গড়ে তুলেছেন ম্রো ভাষার লেখক ইয়াংঙান ম্রো।

 

Back to top button