জাতীয়

মেনন হত্যা প্রচেষ্টায় ২৭ বছর অপরাধীদের বিচার দাবি

আজ ১৭ই আগস্ট। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমেরড রাশেদ খান মেননকে হত্যা চেষ্টার ২৭তম বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের এই দিনে ওয়ার্কার্স পার্টি অফিসের সামনে হত্যার উদ্দেশে গুলিবৃদ্ধ করা হলে তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। আহত অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সিএমএইচ ও পরে লন্ডেনের কিংস কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শেষ পর্যায়ে ব্যাংককে অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে তিনি ১৯৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। দেশের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি আবার সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেণ। আজও অব্যাহতভাবে তিনি রাজপথে ও পার্লামেন্টে দাড়িয়ে শ্রমজীবি ও মেহনতি মানুষের পাক্ষে লড়াই সংগ্রামে সক্রিয় রয়েছেল। কিন্তু দুখের বিষয় ২৭ বছর পরও এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও বিচার হয়নি। এই হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সারা বাংলাদেশের মানুষ বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল। ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে দেশ আজ বিচারহীনতর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। মেনন হত্যা চেষ্টাকারীদের বিচার এখন সময়ের দাবী।

আজ সকাল ১১টায় মিরপুর সাড়ে এগারো, অনিক প্লাজার সামনে ও বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টি নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গতকাল ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মীরপুর চলন্তিকা বস্তিতে দশ হাজার ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। ইতিপূর্বেও ঢাকা মহানগরে এরকম অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়েছে। এর পেছনে প্রভাবশালী ষড়যন্ত্রকারীদের ভূমিকা রয়েছে। গরিব মানুষকে বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে, এসকল স্থানে বহুতল বিশিষ্ট ভবন গড়ে তোলার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এসকল ঘটনা ঘটানো হয়। নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারদাবী করেন।

সকাল ১১টার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত মীরপুরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন, পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য কমরেড শাহানা ফেরদৈসী লাকী।

বিকাল ৪টায় ঢাকা মহানগর আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত অনুরূপ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন। কর্মসূচীসমূহে বক্তব্য রাখেন পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড এ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড আবদুল খালেক, শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন, খেতমজুর নেতা জাকির হোসেন রাজু, কৃষক নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, যুব নেতা সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর নেতা কমরেড তৌহিদুর রহমান, নারী শ্রমিক নেত্রী মুর্শিদা আখতার নাহার, নারী নেত্রী শিউলি শিকদার, পার্টি নেতা আবুল কালাম, পলব্বী থানা সম্পাদক কমরেড তাপস রায়, যুব নেতা জামিরুল ইসলাম ডালিম, হরযত আলী সুমন, ছাত্র নেতা অতুলন দাস আলো প্রমুখ।

Back to top button