মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব বাংলাদেশের
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের মধ্যেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সে দেশের সঙ্গে মিলে সীমান্তে অভিযান চালানোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মঞ্জুরুল করিম ও বাংলাদেশে মিয়ানমারের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অং মিন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে অনেকদিন ধরেই চিন্তাভাবনা চলছিল জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এটি (প্রস্তাব) দেওয়া হল।
“এ প্রস্তাবের জন্য শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি প্রস্তাবের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেছেন।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ওই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
আরও সহিংসতার আশঙ্কায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাফ নদী ও স্থল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ অংশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে।
দীর্ঘ দিন ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ। মুসলিম এই জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
এর আগে গত বছর ৯ অক্টোবর সন্ত্রাসী হামলার পর একই ধরনের সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছিল।
রাখাইনে নতুন করে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ঢাকার পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগও জানানো হয়েছে।
সোমবারের বৈঠকে মহাপরিচালক মঞ্জুরুল করিম রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ইস্যুতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় মিয়ানমারকে।