আঞ্চলিক সংবাদ

মিঠুন চাকমা খুনের ঘটনায় খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অাদালতে মামলা

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমা খুনের ঘটনায় ছয়দিন পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ সংস্কারপন্থি দলের শীর্ষ ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মিঠুনের জেঠাতো ভাই অনি বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন-পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সংস্কারপন্থি গ্রুপের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল তালুকদার ওরফে মেজর পেলে (৬৫), নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি শক্তিমান চাকমা (৫২), বাঘাইছড়ির সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা (৪২)। সদ্য গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক সংগঠনের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা (৪২), সদস্য সচিব শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে জলেয়া (৪০), উজ্জ্বল কান্তি চাকমা ওরফে প্রত্যয় (৪০), সাবেক ইউপি সদস্য নবদ্বীপ চাকমা (৫০), পান্ডব চাকমা ওরফে রণয় (৩৯), দীপন আলো চাকমা ওরফে ভোলা (৪০), মলিন্দা চাকমা ওরফে নিমেন (৫৮), লক্ষ্মী জীবন চাকমা ওরফে তুজিম (৩৮), মিলন ত্রিপুরা (২৮), রাপ্রু মারমা (২৯), পুলু মারমা ওরফে এ্যাপোলো (৩৫), জ্ঞান বিকাশ চাকমা (৩০), আলোকময় চাকমা ওরফে ব্রজেস (৫৬), মিটন চাকমা (২৮)।মামলার এজাহারে বলা হয়, ৩ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছোট ভাই বাগেশ চাকমার সঙ্গে কথা বলছিলেন মিঠুন। এসময় সেখান থেকে তাতিন্দ্র, সুদর্শন, শক্তিমান ও তপনের নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা মিঠুনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের নিউজিল্যান্ড এলাকায় জেএসএস নেতা সুদর্শন চাকমার লাইসেন্স করা পয়েন্ট টুটু রাইফেল দিয়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা তাকে গুলি করে। পরে উজ্জ্বল কান্তি চাকমা ও নবদ্বীপ চাকমা নিজেদের অস্ত্র দিয়ে মিঠুনকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

Back to top button