মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড যুব দল হোয়াইটওয়াশ
৩৩৩ রানের কঠিন লক্ষ্যও পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় যুব টেস্টে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের এই জয়ে চার দিনের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যুব টেস্টের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের যুবারা দ্বিতীয় ম্যাচেও পেয়েছেন দুর্দান্ত জয়। ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩৩৩ রানের লক্ষ্য শেষ দিনে মাহমুদুলের ১১৪ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল প্রথম ইনিংসে করে ৩৩৭ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের, অলআউট ২২৮ রানে। লিড পাওয়া সফরকারীরা জেমি স্মিথের সেঞ্চুরিতে (১০৪) ৮ উইকেটে ২২৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করলে আকবর আলীদের লক্ষ্য ঠিক হয় ৩৩৩ রানের।
কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে অমিত হাসান ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে আরও চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানের হাফসেঞ্চুরি (৫১) ও পারভেজ হোসেনের (৩৭) ব্যাটে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তাদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের পথ তৈরি করেন মাহমুদুল ও তৌহিদ হৃদয়। তাদের জুটি থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ১৪২ রান। তৌহিদ ৭৬ রানে আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদুল। তৌহিদ তার ১৪৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও এক ছক্কায়।
প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিলেন মাহমুদুল। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজনের সময় আগের ইনিংসকেও ছাড়িয়ে গেলেন এই ব্যাটসম্যান। ১১৪ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে যখন তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরছিলেন, জয়ের জন্য দরকার তখন মাত্র ৭ রান। ২২৪ বলের ইনিংসটি মাহমুদুল সাজান ১৩ বাউন্ডারিতে। তার আউটের পর শাহাদত হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। আর জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রুহেল আহমেদ (৪*) ও মিজানুর রহমান (৩*)।
প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরিতে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মাহমুদুল হাসান। আর বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে সিরিজসেরা হয়েছেন এই ম্যাচে ৭ উইকেট পাওয়া মিনহাজুর রহমান। দুই ম্যাচের সিরিজে এই স্পিনারের শিকার ১৬ উইকেট।
source: banglatribune.com