মানবজমিন সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলাঃ উদ্বেগ সম্পাদক পরিষদের

প্রতিবেদনের কোথায়ও সাইফুজ্জামান শিখরের নাম বা রেফারেন্স ব্যবহার না করার পরও কিভাবে তার সম্মানহানি হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে সম্পাদক পরিষদ
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়ার বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্কাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
একইসঙ্গে মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দেশের জাতীয় গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকদের এই সংগঠন।
বুধবার (১১ মার্চ) সম্পাদক পরিষদের প্রেসিডেন্ট মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিৃবৃতিতে বলা হয়, সম্মানহানি হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। কিন্তু ওই প্রতিবেদনের কোথায়ও তার (সাইফুজ্জামান শিখর) নাম উল্লেখ করা হয়নি, এমনকি প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবেও তাকে ইঙ্গিত করা হয়নি।
প্রতিবেদনের কোথায়ও সাইফুজ্জামান শিখরের নাম বা রেফারেন্স ব্যবহার না করার পরও কিভাবে তার সম্মানহানি হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
বরং অজানা ব্যবহারকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যা করেছে তার দায় কোনোভাবেই মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এবং এর প্রতিবেদকের ওপর বর্তায় না বলেই মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
সম্পাদক পরিষদ আরও মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভয় দেখানো এবং হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব কারণেই সম্পাদক পরিষদ শুরু থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলটি করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
মামলায় সাংসদ উল্লেখ করেন, তার বিরুদ্ধে অনলাইন মাধ্যমে মিথ্যা ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করায় তার মানহানি হয়েছে।