ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আদিবাসী নারী দ্রৌপদী মুর্মুকে মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের এক বৈঠকের পর দলের সভাপতি জেপি নদ্দা জানান, সম্ভাব্য ২০ নামের তালিকা থেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই ভারতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিবার্চনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন সাবেক বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিজেদের মনোনীত প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করার ক্ষমতা বিজেপির রয়েছে। এদিকে এক টুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু একজন অসাধারণ প্রেসিডেন্ট হবেন সে বিষয়ে তিনি দৃঢ় বিশ্বাসী।
টেলিভিশনে নিজের মনোনয়নের খবর শোনার পর দ্রৌপদী মুর্মু জানান, তিনি এ সংবাদ পেয়ে ‘বিস্মিত’ ও ‘আনন্দিত’।
তিনি আরো বলেন,‘দুর্গম ময়ুরভঞ্জ জেলার একজন আদিবাসী নারী হিসেবে আমি শীর্ষ পদের জন্য মনোনীত হওয়ার কথা চিন্তা করিনি’।
৬৪ বছর বয়সী মুর্মুর বাড়ি উড়িষ্যায়। দ্রৌপদী মুর্মু পেশায় একজন সাবেক শিক্ষক। এছাড়াও তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খন্ডের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৮ সালে সাঁওতাল পরিবারে জন্ম নেয়া মুর্মু প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে তার শিক্ষাজীবন শেষ করেন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ভারতের আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হলেও, তিনি নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী নন।