বোমাং ও মং সার্কেলের প্রথাগত আইনে নারীদের অংশগ্রহন সন্তোষজনক নয়
পার্বত্য অঞ্চলে বান্দরবানের বোমাং ও খাগড়াছড়ির মং সার্কেলের প্রথাগত আইনে নারীদের অংশগ্রহণ সন্তোষ জনক নয়। তবে চাকমা সার্কেলভুক্ত এলাকায় প্রথাগত আইনে নারীদের অংশগ্রহণ সন্তোষজনক। শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের আশিকা সম্মেলন কক্ষে ‘প্রথাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনে নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ’ বিষয়ে নারী প্রগতি সংঘের সহযোগিতায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা প্রোগ্রেসিভের আয়োজনে এক সংবাদ সন্মেলনে বিভিন্ন নারী নেতৃবৃন্দ একথা জানান।
সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, বোমাং ও মং সার্কেলে আদিবাসী নারীদের প্রথাগত আইনের বিচারিক কাজে অংশগ্রহণ থাকেনা। এতে নারীরা বিচারিক ব্যবস্থায় নানান বৈষম্যর শিকার হয়। তবে চাকমা সার্কেল চীফ ইতিমধ্যে তার সার্কেলে একাধিক নারী হেডম্যান (মৌজা প্রধান) ও নারী কার্বারী (গ্রাম প্রধান) নিয়োগ দিয়েছেন। এতে করে চাকমা সার্কেলে নারীদের অংশগ্রহন সন্তোষজনক ভাবে বাড়ছে। সম্মেলনে বক্তারা পাহাড়িদের প্রথাগত আইনে নারী প্রতি বৈষম্য কমাতে বোমাং ও মং সার্কেলকেও চাকমা সার্কেলের ন্যায় নারী হেডম্যান কার্বারী নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নারীদের অংশগ্রহণ না থাকায় এখানে নারীদের মতামতকে উপেক্ষা করে ইচ্ছামত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এখানে নারীবান্ধব কোন প্রকল্প লক্ষ্যনীয় নয়। পাশাপাশি বাজেটেও নারীদের জন্য আলাদা কোন বাজেট বরাদ্দ রাখা হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে নারী নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে পুরুষদের পাশাপাশি যোগ্যতা সম্পন্ন নারীদের হেডম্যান কার্বারী নিয়োগ, নারী সংক্রান্ত কোন বিচার প্রক্রিয়াতে নারীদের বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা, স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পহাড়ি নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, নারী নেত্রী টুকু তালুকদার, সিনিয়র আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা, প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা, হেডম্যান থোয়াই অং মারমা।