বিশ্বে প্রথম আত্মহত্যা প্রতিরোধে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার

আত্মহত্যা প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যে আলাদা মন্ত্রনালয় গঠন ও মন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যাকি প্রাইসকে নতুন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিশ্বে এটাই প্রথম আত্মহত্যা প্রতিরোধে মন্ত্রী নিয়োগের ঘটনা।
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪ হাজার ৫শ মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই মৃত্যু ঠেকাতে মন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
বিশ্বের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে সম্মিলিত হয়েছেন বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধি। এমন সময় দেশটির পক্ষ থেকে আত্মহত্যা প্রতিরোধে মন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা এলো। মন্ত্রী নিয়োগের পাশাপাশি বিনামূল্যে মানসিক চিকিৎসা সেবা দিতে অর্থও বরাদ্দ করেছে থেরেসা মে’র সরকার। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া অলাভজনক এক সংগঠনকে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২০ কোটি টাকার সমান। আগামি চার বছর ওই অর্থে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেবে ওই সংগঠন।
২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে কম বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬৭ ভাগ। থেরেসা মে’র সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে নতুন টিম গঠন করে স্কুলে স্কুলে পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তাদের মানসিক অবস্থার উন্নয়নে পরামর্শ দেবে তারা।
মে বলেছেন, ‘যে বাস্তবতা নীরবে মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে রাখে আর আত্মহত্যার প্ররোচণা দেয়, আমরা সেই বাস্তবতার অবসান ঘটাতে চাই।’
আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পাওয়া জ্যাকি প্রাইস জানায়, ‘আমি যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ছিলাম তখন অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে যারা আত্মহত্যাজনিত কারনে বেদনাক্রন্ত ছিলো। তাদের দুঃখের ও হারানোর বেদনা আমাকে নাড়া দিয়েছে। তাদের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার সুযোগকে আমি স্বাগত জানাই।’
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে দেখা যায় বিশ্ব জুড়ে ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুহারের দ্বিতীয় কারন এই আত্মহত্যা।
source:cnn