বিলাইছড়ি উপজেলার গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনা তল্লাশী
গত ৩০ জুন ২০১৭, বিকাল আনুমানিক ৫:৩০ টায় রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার দীঘলছড়ি সেনা জোন, ১৩ বেঙ্গল এর টুআইসি মেজর মারুফের নেতৃত্বে জোন ও পার্শ্ববর্তী গাছকাবা ছড়া সেনাক্যাম্পের ৩১ জনের একদল সেনাসদস্য উপজেলার কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের ঢেবাছড়ি গ্রামে জনসংহতি সমিতির এক সদস্যসহ ৩ জুম্ম গ্রামবাসীর বাড়িতে হয়রানিমূলকভাবে তল্লাশী চালায়, জিনিসপত্র তছনছ করে এবং বাড়ির লোকদের মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে।
জানা গেছে, সেনাসদস্যরা প্রথমে গ্রামবাসী ইন্দ্রজিত চাকমার (৩৬) বাড়ি ঘেরাও করে বাড়িতে তল্লাশী চালায় এবং আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় তছনছ করে দেয়। ইন্দ্রজিত চাকমা এসময় বাড়িতে ছিলেন না। সেনাসদস্যরা এসময় ইন্দ্রজিতের বার বছরের মেয়েকে ধমক দিয়ে গতকাল কে কে ভাত খেয়েছে বলে জিজ্ঞেস করে এবং ইন্দ্রজিতের স্ত্রীকে একটি দা দেখিয়ে কেটে মেরে ফেলবে বলে হুমকী প্রদান করে। প্রায় এক ঘন্টা তল্লাশীর পর সেনাসদস্যরা ইন্দ্রজিতের স্ত্রীর কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে দস্তখত আদায় করে। এরপর সেনাসদস্যরা পরপর জনসংহতি সমিতির কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন কমিটির সদস্য ও গ্রামের কার্বারী অমরজিত চাকমা (৪০) ও হরিলাল চাকমা (৩৯) পীং-কালাবো চাকমা এর বাড়িতে তল্লাশী চালায় এবং বাড়ির জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়।
বলাবাহুল্য নিরীহ জুম্মদেরকে হয়রানি করা, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে ফাঁসানো এবং এলাকার সাধারণ জুম্মদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অযৌক্তিক তল্লাশী চালানো হয়েছে, যা মানবাধিকার লংঘনের সামিল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটি বিলাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির সদস্যসহ তিন গ্রামবাসীর বাড়িতে উক্ত তল্লাশী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অবিলম্বে নিরীহ জুম্মদের উপর এধরনের হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তল্লাশী বন্ধ করারও দাবি জানানো হচ্ছে।