জাতীয়

বান্দরবানে মেঘলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাড়াবাসীদের মানববন্ধন

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পাড়াবাসীদের চলাচলের পথ বন্ধ, দোকানদারের উপর শারিরীক নির্যাতন ও দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে – লালমোহন পাড়াও ডলুঝিড়ি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়াবাসী ব্যানারে মেঘলা দ্বিতীয় গেটের সামনে পাড়াবাসী ও বান্দরবানে জাতিগতভিত্তিক ছাত্র সংগঠকবৃন্দরাও উক্ত মানবন্ধনে অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের লাল মোহন পাড়া, ডলুঝিড়ি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় প্রায় ৫৫ টি পরিবারের বসবাস। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র সৃষ্টি না হওয়ার আগে থেকে বসবাস করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা ঐ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। আর এই রাস্তাটি পৌরসভা কতৃর্ক ব্রিক সোলিং করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় কথাবার্তা ছাড়াই গ্রামবাসীদের চলাচলের পথটি বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। অথচ গত দুই বছর আগে গেটটি নির্মাণের সময় তখনকার জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক গ্রামবাসীদের চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না, এমন কথা দিয়েছিলেন।

গত বছর ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের দিকে এনডিসি মহোদয় গ্রামবাসীদের নতুন দোকান নির্মাণের জন্য বলেছিলেন। উনার কথায় দোকান নির্মাণ করে। ওই মাসের নভেম্বর মাসে শেষের দিকে আসেন বর্তমান জেলা প্রশাসক। এসে দোকানদারদের সাথে আলাপ আলোচনা ব্যতীত দোকানগুলো ভেঙ্গে ফেলতে বলেন। উপায়ন্ত না দেখে বাধ্য হয়ে মেঘলার ভিতর থাকা ১২ টি দোকান ভাঙ্গতে বাধ্য হয়।

গত ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে বেলা সাড়ে ৩.০০ ঘটিকার দিকে পরিদর্শনে তিনি আসেন। এসে দোকান থেকে একটু দূরে পাহাড়ে খাদে পর্যটকদের খাওয়ার জিনিসের ময়লা দেখতে পান। তিনি দেখতে পেয়ে বিনয়লাল তঞ্চঙ্গ্যাকে ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত হয়। তিনি(ডিসি) তার কাছে জিজ্ঞেস করেন এখানে ময়লা কেন? বিনয়লাল বলে, স্যার সন্ধ্যার দিকে পুড়িয়ে ফেলবো। তিনি বলেন, এখন পুড়িয়ে ফেলো। এরপর হেসে কথা বলতে গিয়ে, কেন হাসতেছ? আমাকে দেখলে কি হাসি আসে কথাটি বলে, হঠাৎ বিনয়লালের উপর কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। এসময় এনডিসি, বডিগার্ড ফয়েজ আহম্মদ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ের বিনয়লাল তলপেটের অন্ডকোষে আঘাত লেগে, সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে রাতে ডাঃ মং উসা থোয়াই এর কাছে চিকিৎসা নেন।

Back to top button