জাতীয়

বান্দরবানে অবৈধ পাথর উত্তোলনের প্রতিবাদে ঢাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে থানছি, রুমা, আলীকদম, লামা ও রোয়াংছড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় ঝিরি, খাল-ছড়া থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আজকে সকাল ১০ টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মানববন্ধনে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, পিসিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় দপ্তর সম্পাদক লিটন চাকমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম লিটারেচার অ্যান্ড কালচার সোসাইটি সভাপতি কিংশুক চাকমা, সাসু( সান্তাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন) সাধারণ সম্পাদক সুমন মাইকেল মুরমু, টিএসএফ প্রতিনিধি হলাচন্দ্র ত্রিপুরা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অংশৈসিং মারমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রুমা উপজেলার সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হ্লাসিংথোয়াইং মারমা ও থানছি থেকে ঢাবি পড়ুয়া ছাত্র চমংপ্রু মারমা নিজেদের এলাকায় পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশে বিপর্যয়কর অবস্থা তুলে ধরেন । মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নুমংপ্রু মারমা।

বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশের দুটি বিশাল বনাঞ্চল রয়েছে। সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম । বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ও বনাঞ্চল ধ্বংস করতে কিছু আসাধু ব্যবসায়ী ও অর্থলোভী রাজনীতিবিদ উঠেপড়ে লেগেছে। পাহাড়ের ছড়া, ঝিরি পানির প্রবাহ সম্পূর্ণভাবে পাথরের উপর নির্ভর করে। তাই পাথর উধাও হয়ে গেলে বা অবৈধ ভাবে উত্তোলিত হলে এর ক্ষতিকর প্রভাব জীব-বৈচিত্র্যের উপর পড়বে। এমনকি অনেক জায়গা পানি সমস্যা প্রকট হয়ে পড়েছে। যেভাবে প্রভাবশালীরা প্রাকৃতিক ধ্বংস করছে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে রাঙ্গামাটির পাহাড়-ধ্বসের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম আরো বিশাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হবে।”

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, “বিভিন্ন পর্যটন, পরিবেশবাদী, প্রগতিশীল সংগঠন সহ সকলে উচিত এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো”।

তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রাণালয় সহ দায়িত্বশীল প্রশাসনের প্রতি অবৈধ পাথর উত্তোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য আহ্বান করেন।

বিএমএসসি ঢাকা মহানগর সভাপতি নুমংপ্রু মারমা বলেন, “থানছি থেকে বড় মদক হয়ে লিক্রি পর্যন্ত ৮০ কিমি সড়কটি সেনাবাহিনী নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে। এই সড়কেই প্রাকৃতিক পাথর ব্যবহার করছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। তাছাড়া, এই পাথরের উত্তোলনের সাথে কিছু আদিবাসী প্রভাবশালীও সংশ্লিষ্ট রয়েছে। কিছু অর্থলোভে উনারা যা করছেন আমাদের আদিবাসীদের জন্য সত্যিই লজ্জাজনক।”

উক্ত মানববন্ধনে বক্তাগণ, পাথর উত্তোলনের মতো এই ধরেনের নিকৃষ্ট কাজকে ধিক্কার জানায় এবং অনতিবিলম্বে পাথরসন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান এবং অতী শীঘ্রই পাথর উত্তোলন বন্ধ করার জন্য সরকারে কাছে আহ্বান করেন।

Back to top button