আঞ্চলিক সংবাদ

বান্দরবানের কুহালং-এ গ্রামবাসী গ্রেফতারঃ মুক্তির দাবি জানিয়েছে জেএসএস

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বান্দরবান জেলার কুহালং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা এই অভিযোগ তুলেছে। ৩০ জুলাই শনিবার সংগঠনটির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুলাই ২০১৬ সন্ত্রাসী গ্রেফতারের নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বান্দরবান জেলার সদর উপজেলাধীন কুহালং ইউনিয়নের আমতলী, খৈয়াতলী পাড়া ও কোলাক্ষ্যং পাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিরীহ চার জুম্ম গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে আমতলি পাড়ার অধিবাসী শৈমংসিং মারমা ও কোলাক্ষ্যং পাড়ার অধিবাসী গঞ্জু চাকমা নামে দুইজনকে ছেড়ে দিলেও কোলাক্ষ্যং পাড়াস’ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত সুরেশ চাকমা (২৬), সাং-আন্ধার মানিক, আইমাছড়া ইউনিয়ন, বরকল উপজেলা, রাঙ্গামাটিকে এবং তার আত্মীয় বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা (৩৭), সাং-খৈয়াতলি পাড়া, কুহালং ইউনিয়ন, বান্দরবান সদর উপজেলাকে ছেড়ে দেয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মংপু মারমাকে অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত না হলেও তাদেরকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃতদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আটক করা ব্যক্তিরা নিরীহ গ্রামবাসী, তারা জনসংহতি সমিতির সদস্যও নয়। এছাড়া গ্রেফতারকৃত সুরেশ চাকমা মাত্র কিছুদিন আগে সপরিবারে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলাধীন আইমাছড়া ইউনিয়নের নিজ গ্রাম আন্ধারমানিক থেকে বান্দরবান সদর উপজেলাধীন কুহালং ইউনিয়নের কোলাক্ষ্যং পাড়ার নিজ শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গ্রেফতারকৃতরা কোনভাবে সন্ত্রাসী নয়।
জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলার নেতৃবৃন্দ তথাকথিত সন্ত্রাসী ধরার নামে নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি দলটির নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারকৃত নিরীহ গ্রামবাসীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ বান্দরবানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে অব্যাহতভাবে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী কর্তৃক অবিলম্বে নিরীহ গ্রামবাসীদের হয়রানি, নির্যাতন, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় জড়িতকরণ বন্ধের দাবি জানান ।

Back to top button