জাতীয়

বান্দরবনের লামায় আদিবাসী দুই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবী বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের

শ্যাম সাগর মানকিন: বান্দরবনের লামায় আদিবাসী দুই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় দোষী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার, যথাযথ তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত এবং ঘটনার শিকার আদিবাসী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি সন্মেলন কক্ষে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পরবর্তী সংবাদ সন্মেলনে এ দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, গত ২২ আগস্ট ২০১৮ রাতে বানফরবনের লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাংগতি পাড়ায় দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, জনউদ্যোগ, কাপেং ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের এক প্রতিনিধি দল সাম্প্রতিক সেখানে পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধি দল সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা থানার ওসি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কার্বারী, ত্রিপুরা কল্যান সংসদের সাবেক সভাপতি, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সদস্য, স্থানীয় সংবাদ প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গ্রামে ঢুকতে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি বলেও জানানো হয়।

সংবাদ সন্মেলনে প্রতিনিধিদল জানান, এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার একজন বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা হয়েছে। লামা থানার মামলা নং -০৫/২০১৮। সেখানে জনেরুং ত্রিপুরা নামে স্থানীয় এক নারী ও তিন বিজিবি সদস্য মারুফ, সুমন ও রবিউলকে আসামী করা হয়েছে। তার মধ্যে জনেরুংকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অপরাধীদের ধরা হয়নি বলে জানায়।

এ ব্যাপারে লামা থানার ওসি আপ্পেলা রাজু নাহা প্রতিনিধি দলকে জানান, আসামীদের সনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজিবি ক্যাম্প বরাবর পত্র দেয়া হয়েছে। আসামী সনাক্ত হলে, গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এই বিষয়ে প্রতিনিধি দল মনে করেন, আসামীদের নাম উল্লেখ থাকা সত্বে সনাক্ত করতে দেরি হওয়া জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে। এরকম কালক্ষেপণ হওয়া মানে ন্যায় বিচার অস্বীকার করা। তাই দ্রুত ঘটনার তদন্ত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, ঘটনার শিকার ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান।

সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর পরিচালক রীনা রায়, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সহ-সভাপতি নাট্যজন আফরোজা বানু, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, জনউদ্যোগের আহবায়ক মুসতাক হোসেন, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব তারিক মিঠুল, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা প্রমুখ।

Back to top button