জাতীয়

বাদপড়া আদিবাসীদের গেজেটে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে স্পীকারকে স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশকে বহু জাতি ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে বিনির্মাণের লক্ষে বাদপড়া আদিবাসীদের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান-২০১০’ এ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। হিউম্যান রাইটস্‌ ডিফেন্ডার ফোরামের উদ্যোগে ৮জুন বুধবার জুন ঢাকার শাহবাগে জাতীয় সংসদের স্পীকারকে স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপ সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুমন মার্মা, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুল , রবিদাস ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুব্রত রবিদাস প্রমুখ ।
আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং- এর সঞ্চালনায় স্মারকলিপি পাঠ করেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের আহ্ববায়ক শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ।
সমাবেশে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি শ্রী পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে আজ অস্বীকৃতির সংস্কৃতি চলছে। সবকিছুই কৌশলে অস্বীকার করা হচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মানুষ খুন হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা বলে অস্বীকার করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, একইভাবে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিয়ে ও ক্ষুদ নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ এ তালিকার বাইরে রেখে প্রকারান্তরে তাদের পরিচয় অস্বীকার করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে বাদপড়া আদিবাসীদের সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের সুরক্ষার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, বাদপড়া আদিবাসীরা সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত ক্ত না হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সরকারি চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
জনউদ্যোগের সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুল বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প-২০২১’ এর মধ্যে মধ্যম আয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার যে প্রকল্প নিয়েছে, তা আদিবাসীদের বাদ দিয়ে কখনই গঠন করা সম্ভব নয়।।
সমাবেশ শেষে পংকজ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্পীকার ও সংসদ সদস্যদের স্মারকলিপি প্রদানের জন্য সংসদ ভবনের উদ্দ্যেশে রওনা দেন। সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানান আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য ঊষাতন তালুকদার এমপি। পরে স্পীকারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, এমপি। তিনি স্মারকলিপির অনুলিপি সংসদের সকল সদস্যবৃন্দের নিকট পৌঁছিয়ে দেবেন বলে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল শিল্পকলা একাডেমি’র মহাপরিচালকের নিকটও স্মারকলিপির অনুলিপি হস্তান্তর করেন।

Back to top button