বাঙ্গালহালিয়ায় জেএসএস কার্যালয়ে সংস্কারপন্থীদের ভাংচুর ও লুটপাট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙ্গালহালিয়ায় তাতিন্দ্র-সুদর্শন নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থী, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের কর্তৃক জেএসএস কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ঘটেছে বলে জানা গেছে। জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য বিনয় কুমার ত্রিপুরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসী পুলক চাকমার নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী জনসংহতি সমিতি বাঙ্গালহালিয়া ইউপি শাখা কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও এম এন লারমা’র ফটো তছনছ করে এবং অফিসের কাগজপত্রসহ দু’টি সিলিং ফ্যান লুঠ করে নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এর আগেও ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রাজস্থলী উপজেলায় জনসংহতি সমিতির বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ক্যশৈপ্রু মারমাকে সংস্কারপন্থী ৬/৭ জন সন্ত্রাসী বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয় ও ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। মৃত্যুর হুমকির মুখে সন্ত্রাসীরা একলক্ষ টাকা আদায় করে। তারও আগে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকায় কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ডংনালা এলাকার উপরপাড়ায় ১৪/১৫ জন সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসী জনসংহতি সমিতির বাঙ্গালহালিয়া ওয়ার্ড শাখার সদস্য ইছেমং মারমা ওরফে আপিমং এর বাড়ি হানা দেয়। সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইছেমং মারমার স্ত্রীকে টানাহেঁচড়া করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আরো উল্লেখ্য যে, বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রাক্কালে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ রাত ১১.৩০ ঘটিকায় সংস্কারপন্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের যোগসাজশে বাঙালহালিয়া সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া বাজার সংলগ্ন ডাকবাংলা গ্রামে জনসংহতি সমিতি রাজস্থলী থানা শাখার কৃষি বিষয়ক সম্পাদক থুইহ্লা মারমার বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়,প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী ছত্রছায়ায় জনসংহতি সমিতির সদস্যদের উপর এধরনের দমন-পীড়ন ও হামলা অচিরেই বন্ধ করার জন্য জনসংহতি সমিতি আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সাথে গত ২৫ ফেব্রুয়ারিতে জনসংহতি সমিতির কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অচিরেই গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে, অন্যথায় যে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারই দায়ী থাকবে।