বরগুনায় রাখাইনদের বাড়তি নিরাপত্তা
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন এবং উচ্ছেদের ঘটনায় বরগুনায় বসবাসরত রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলায় বসবাসরত রাখাইনদের ওপর যাতে কোনো ধরনের হামলা না হয়, সেজন্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারিসহ রাখাইনপাড়ায় টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সতর্ক আছে স্থানীয় নাগরিক সমাজসহ মুসলিম ধর্মীয় নেতারাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা-পটুয়াখালীতে বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার রাখাইন সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করছে। যার মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী এবং তালতলী উপজেলায় বসবাস করছে প্রায় ৩ হাজার রাখাইন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বরগুনা-পটুয়াখালী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাস্টি খে মংলা রাখাইন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু উগ্রপন্থি লোক তাদের দেখলে নানা কটূক্তি করার চেষ্টা করছে। এতে তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন এবং নাগরিক সমাজ যেভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছে, তাতে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে বর্বরতা চলছে, তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এ রাখাইন নেতা।
বরগুনা সদরঘাট জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মো. গোলাম মাওলা জাহিদ বলেন, সব জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একত্রে বসবাস করবে এটাই বাস্তবতা। সে ক্ষেত্রে যিনি অপরাধ করবেন, তিনিই শাস্তি পাবেন। যারা অপরাধ করবে না, তাদের শাস্তি দেওয়ার কোনো বিধান ইসলামে নেই। অতএব, এ দেশে যারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করছেন, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সবার।
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম বলেন, মিয়ানমার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বরগুনায় বসবাসরত রাখাইনদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রাশাসন, স্থানীয় চৌকিদার এবং নাগরিক সমাজের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।