জাতীয়

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু “হত্যাকাণ্ডের” নামান্তরঃ দেশের ১১৫জন বিশিষ্ট নাগরিক

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু “হত্যাকাণ্ডের নামান্তর” বলে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এই নাগরিকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানিয়ে আজ বিশিষ্টজনরা এই বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়।”

বিবৃতিদাতারা  অভিযোগ করে বলেন, “প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।”

এদিকে সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে মনে করি।”

কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না উল্লেখ করে বিবৃতিদাতারা  দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবানও জানান এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন:

১) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

৩) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৫) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে।

৬) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

৭) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৮) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তবে আজ বিকেলে এক নোটিশের মাধ্যমে ডেইলী স্টার কর্তৃপক্ষ নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতি দিয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ তাদের নোটিশে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।

উক্ত বিবৃতিতে আরো যারা স্বাক্ষর করেছেন- সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি, ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি, রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা সার্কেল, রাঙামাটি, অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ , ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক, সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ , শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি), পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন, পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, রেহনুমা আহমেদ, লেখক, শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী, মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ , অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক, মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক, ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ, জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , নুর খান, মানবাধিকারকর্মী, অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট , স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড, ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড,  রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক, দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক, রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড, মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়,, দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী, সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র, আতিকা রোমা, সমাজকর্মী, রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী, বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক, মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী , সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার, বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক, তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক, মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী, মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক, মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী, মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী, শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় , রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক, আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক, রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী, লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী, নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী, ৠতু সাত্তার, শিল্পী, সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী, মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী, খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী, তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা, মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক, তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন, সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপিনিউজ, অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী, ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম, কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক, জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস), শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক, চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন, ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ, বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ, হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ, অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি, রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি, তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি, বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত, শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশনজনি মানখিন, শিক্ষক, মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা, মিঠুন রাকসাম, কবি, পরাগ রিছিল, গবেষক,  মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

Back to top button