জাতীয়

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশ অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ বুধবার ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকশেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান ‘দুই-একদিনের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা, ও শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অর্থাৎ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিধান ছিলো। সাম্প্রতিক কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে এই ৫৬ শতাংশ কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে সচিব কমিটি। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কোনও কোটা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ দেয়নি ওই কমিটি।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর ও আদিবাসীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সচিব কমিটি ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণ ও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখেছে, এখন আর পিছিয়ে পড়া কোনও জনগোষ্ঠী নেই। সবাই এগিয়ে গেছে। তাই তাদের জন্য কোনও কোটা রাখার সুপারিশ করা হয়নি।
এর আগে গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল সরকার গঠিত সচিব কমিটি। আজকের মন্ত্রিসভায় সচিব কমিটির সেই সুপারিশই রাখা হয়েছে।

Back to top button