জাতীয়

প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাবে গণশুনানি

ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগে পাইকারি বিদ্যুতের দাম কমাতে ভোক্তাদের একটি আবেদনে গণশুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এতদিন শুধু বিতরণ কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তা নিয়েই শুনানির আয়োজন করত কমিশন; যদিও সেখানে দাম বাড়ানোর বিপক্ষে যুক্তি দেখানো যেত।

তবে এবারের নতুন শুনানিতে ঘটবে উল্টোটি। অর্থাৎ আগে কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিত, তার পক্ষে যুক্তি দেখাত। এবার বিপরীত দিকে বসে প্রস্তাবের বিরোধিতায় নামতে হবে তাদের।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) লিখিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাবের উপর গণশুনানি নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয় জানান বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলাম।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বিইআরসির এই উদ্যোগকে ‘যুগান্তকারী’ বলছেন। একই প্রতিক্রিয়া জানান সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সও।

তিনি বলেন, “২০০৯ সাল থেকে গণশুনানি হলেও এতদিন কেবল দাম বাড়ানো নিয়ে শুনানি হয়েছে। এবার কমিশন দাম কমানোর শুনানিও নিচ্ছে, যা আমরা এতদিন দাবি করে আসছিলাম। এটি একটি ইতিবাচক খবর।”

গণশুনানি চলাকালেও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল বাম দলগুলো; দাম কমানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানিকে ইতিবাচক বলছে তারা

গত সোমবার বিইআরসির গণশুনানিতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৭২ পয়সা বা প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে পিডিবি।

শুনানিতে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি তোলে ক্যাবসহ অন্যান্য ভোক্তাগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও বাম রাজনৈতিক নেতারা।

অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বিদ্যুতের ‘উৎপাদন ব্যয় ৬ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা হ্রাস করা সম্ভব। ফলে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২৬ পয়সা কমানো যাবে। “আমরা হিসাব করে দেখিয়েছি, গণশুনানিতে প্রমাণ করে দেওয়া হবে।”

Back to top button