জাতীয়

পাহাড়ধসে ১২৬ জনের মৃত্যুঃ নিখোজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে রাঙামাটিতে। সেখানে পাহাড়ধসে মারা গেছেন ৯৮ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ও দুই সৈনিক। পাহাড়ধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক চালু করতে গিয়ে প্রাণ হারান তাঁরা। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২১ জন ও চন্দনাইশ উপজেলায় ৩ জন এবং বান্দরবানে পাহাড়ধসে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাত ও গতকাল ভোরে পাহাড়ধসে তাঁরা মারা যান।

পাহাড়ধসে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে আজ বুধবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থার কারণে গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার সময় উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় লোকজনও।

রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধস শুরু হয় গতকাল ভোর ৫টা থেকে। এরপর বেলা ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় শহরের ভেদভেদি, রাঙ্গাপানি, যুব উন্নয়ন, টিভি স্টেশন, রেডিও স্টেশন, রিজার্ভ বাজার, মোনঘর, শিমুলতলি ও তবলছড়ি এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। আজ সকাল নয়টার দিকে ঘটনাস্থলের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটো গাড়িকে যেতে দেখা গেছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান আজ গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে রাত আটটায় উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এখনো অনেক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

Back to top button