জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রাম আগের মত আর নেই; সম্পদ কমে যাওয়ায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে

‘রাঙামাটিতে কর্মশালায় সন্তু লারমা’

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম আগের মত আর নেই। কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে ভুমি। হারিয়ে গেছে সম্পদ। অস্বাভাবিক ভাবে মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পদ কমে যাওয়ায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলে সমাজ, রাজনৈতিক, শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঠিক নেই।
কথাগুলো বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
বুধবার বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সভাকক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) ও সাউথ এশিয়া ফুড এ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিরিউটি ইনিসিয়েটিভ (এসএএফএনএসআই) কর্তৃক খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপদ বিষয়ক প্রকল্প শুরুর কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সন্তু লারমা।
তিনি বলেন, পাহাড়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার সবাই পাচ্ছেন না। কেউ পায় কেউ পায় না। মানুষ যে জিনিস পুষ্টি ভেবে খাচ্ছে সেখানে ভেজাল মিশিয়ে বিষে পরিণত করা হচ্ছে। এটি সারা দেশের চিত্র হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এর অবস্থা আরো ভয়াবহ। এখানকার বাজার কারোর নিয়ন্ত্রণে নেই। জনস্বার্থে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করতে চাইলেও নানান জটিলতা তা হচ্ছে না।

সন্তু লারমা আরো বলেন, পাহাড়ের জনগণের স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পরিবেশসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে। কিন্তু এগুলোর সবগুলো দৃশ্যমান নয়। তবে স্থানীয় এনজিও সিআইপিডি দুর্গম এখনও কাজ করছেভ তাদের সুনাম লোকমুখে শুনা যায়। জাতীয় পর্যায়ের এনজিওর মধ্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পাহাড়ের মানুষের জীবনধারার সাথে মিশে গিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে।

কর্মশালায় সার্জন ডা. দেবরাজ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শুটকি বেশ জনপ্রিয় একটি খাদ্য। কিন্তু এগুলো শুকানো এবং বাজারজাত করণে বেশী পরিমান ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে। ফলে পাহাড়ের আদিবাসীদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা দরকার। পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
ডা. বেবী ত্রিপুরা বলেন পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় গর্ভবতী নারী, শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগেন। এখানে সম্প্রদায় ভিত্তিক বিভিন্ন কুসংস্কার আছে। এগুলো দুর করে ভালগুলো গ্রহণ করতে হবে।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন এমজেএফ ড. শামীম ইমাম। অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. বিনোধ শেখর চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, আঞ্চলিক পরিষদের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা সুপর্ণা চাকমা, এনজিও কর্মী জনলাল চাকমা, বিপ্লব চাকমা, লিনা লুসাই বক্তব্য রাখেন।

Back to top button