জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন আতঙ্কের নাম ‘তথাকথিত মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সাংবাদিক’ রহমত মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফিরে

স্যাটায়ার রিপোর্টঃ মংক্যথোয়াই মারমা।
প্রকাশকালঃ ১৩.৫২ ঘন্টা, শনিবারঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে তথাকথিত মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সাংবাদিকরা। হলুদ, লাল, নীলসহ এমন কোন রঙ এবং ঢং নেই যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে এ সমস্ত মিডিয়ার সাংবাদিকরা পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে পাহাড়ি এবং বাঙালিদের।
জানা যায়, গেল ১৯ তারিখ নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মারা যায় রমেল চাকমা নামে এক শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী। এ মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশে এ সাংবাদিক নামধারী হলদে পাখিরা পাহাড়িদের বিরুদ্ধে নানা উস্কানিমূলক রিপোর্ট করেছে। এমনকি রিপোর্টে উইকিপিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে গৌতম বুদ্ধকে পর্যন্ত সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে একটি তথাকথিত মূলধারা পত্রিকার এক সাংবাদিক। যদিও উইকিপিডিয়ায় ঘেটে ‘সন্ত্রাসী গৌতম বুদ্ধ’ বলে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনার পর ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার দায়ে মামলা হয়েছে। ক্ষমা চেয়েছে ওই পত্রিকার সম্পাদক। যদিও এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন। অন্যথায় এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ সমস্ত সাংবাদিকদের এখন সাংঘাতিক হিসেবে দেখছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের লক্ষ্যে এ সাংবাদিকরা এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সাথে এ দেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের অধিকারমূলক আন্দোলনকে এক করে অর্থাৎ কোনমতে তেলে-জলে মিশিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে পাহাড়িরা এদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করছে। স্থানীয়রা এসময় এ সমস্ত অপপ্রচারকারী সাংবাদিকদের পেলে জুতোপেটা করা হবে বলে হুংকার দেন।
একটি গোপন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মূলত এ সাংবাদিকরা একটি বিশেষ মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ কাজগুলো করছে। পাহাড়ি এবং বাঙালিদের যদি দাঙ্গা বাঁধানো যায় তাহলে তাদেরকে একটি করে পাকা বাড়ি এবং চার একর করে জমি দিবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার ফলে লোভ সামলাতে না পেরে এ সমস্ত সাংবাদিকরা এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে পার্বত্যবাসীদের বিভ্রান্ত করছে।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। কিন্তু আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে না দেয়ার জন্য যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে দেখে নেয়া হবে। দরকার হলে এ সমস্ত সাংবাদিকদের অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য রাজপথে মাসের পর মাস থাকবো। তারপরও আমাদের সম্প্রীতির বন্ধনকে নষ্ট হতে দিবো না।’

Back to top button