পাঁচবিবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লীতে অবস্থিত উড়ানী প্রথামিক বিদ্যালয়টিতে চলছে জীর্ন কুঠিরে পাঠদান। এলাকার পিছিয়ে পরা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য স্থানীয় সমাজসেবক রজনী কান্ত সাহা শিক্ষার আলো ছড়াতে নিজের জমিতে ১৯৯৪ সালে উড়ানী আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার কিছুদিন পর বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রার ভুক্ত হয়। এভাবেই বিদ্যালয়টি চলতে থাকে দীর্ঘদিন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে পহেলা জানুয়ারী ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। জাতীয়করণের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ২৩ বছর আগের মাটির দেওয়ালের তৈরী ৩ টি শ্রেণী কক্ষ ও ১ টি ছোট অফিস রুম। বেহালদসা, এসব শ্রেণী কক্ষের বর্তমানে নেই কোন দরজা-জানালা। বর্ষা কালে এর অবস্থা হয় আরো করুন।
প্রধান শিক্ষক নমির উদ্দিন বলেন, প্রথমে খাড়া টিনের চালা ছিল ঝড়ে তা উড়ে যায়। সেই টিন গুলো দিয়েই বর্তমানে এক চালা ছাউনি দেওয়া হয়েছে। তবে টিন গুলোর পুরাতন হয়ে ফুটো হয়েছে। বৃষ্টি হলেই শ্রেণী কক্ষসহ অফিস পানিতে ভরে যায়। এতে অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ও ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়। তিনি আরো বলেন, স্কুল চলা কালিন সময় বৃষ্টি এলেই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে খুব বিপদে থাকতে হয়। কারন বহু দিনের পুরাতন দেয়াল, বাতাসে যেকোন সময় ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, এ উপজেলার উড়াণীসহ দোঘড়া, হাবিবপুর ও মৃধাপাড়া ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষসহ অফিসগুলো পাঠদানের জন্য ঝুকিপূর্ণ। ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য আবেদন উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পিডব্লিউ থ্রি তে না হলেও বিডব্লিউ ফোর এ বিদ্যালয়গুলোর বিল্ডিং সম্পূর্ণ হবে বলে আমি আশাকরি।