নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হাজং আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
সোহেল হাজংঃ নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা সুশীলা হাজং (৫৫) নামে একজন নারী নিখোঁজের দুইদিন দুইরাত পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার দিনের বেলা পার্শবর্তী গুচ্ছগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বের হয় সুশীলা হাজং। পরিবারের লোকজন পরদিন শু্ক্রবার আত্মীয়ের বাসায় খোঁজ নিলে সে সেখানে বেড়াতে আসেনি বলে জানায়। তারপর শুরু হয় তাকে খুঁজাখুজি। অবশেষে শনিবার ২৩ জুলাই সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন ছনগড়া গ্রামের একটি খালে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দিলে পরিবার সুশীলার লাশ শনাক্ত করে। ধারণা করা হচ্ছে, সুশীলা শর্টকাট রাস্তায় আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় এলাকার ছড়া বা খালটি পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে গেলে আর ওঠতে পারে নি। এসব অঞ্চলে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি তোলার ফলে ছড়াগুলো একটু গভীর এবং তার ওপরে বৃষ্টিতে খালের পানি একটু বেশিই ছিল। পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
বগাউড়া গ্রামের দেবেন্দ্র হাজংয়ের স্ত্রী সুশীলা হাজং দিনমজুরি কাজ করতেন। তাদের তিনজন মেয়ের মধ্যে দুইজনের বিয়ে হয়েছে। লাশ শনাক্তের পর পুলিশ আসলেও পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকার ফলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ হাজং বলেন, ‘এটি একটি দু:খজনক ঘটনা, এসব ব্যাপারে আমাদের আরো সচেতন থাকা উচিত। সন্দেহ দূর করতে লাশটি দাহের আগে ময়নাতদন্ত করে নেওয়া উচিত ছিল।’